CC Camera

H S C result (2013)

Friday, August 2, 2013

আপনার পিসিকে করে তুলুন স্পিডি এবং স্ট্যাবল

পিসির পারফরমেন্স যদি নতুন কেনা পিসির মতো না হয়, তবে কার ভালো লাগে বলুন? তাইতো পিসিকে অপ্টিমাইজ করার কৌশল নিয়ে আমার এ পোস্ট। ব্লগসাইটে এটিই আমার প্রথম লেখা। তাই ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই বিষয়ে অনেক অনেকেই অনেক পোস্ট পড়েছেন, এবং লিখেছেনও। তারপরও আশা করি আমারটা পড়লে ভুল করবেননা।


Turn off auto play
কম্পিউটার ভাইরাস ছড়ানোর জন্য প্রধানত দায়ী পেনড্রাইভ। যখন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানো হয়, তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ অটো ওপেন হয়ে যায়। ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আর ভাইরাস তো কম্পিউটারকে স্লো করে ফেলে। তাই অটো প্লে বন্ধ করতে হবে।
Run→gpedit.msc→enter→user configuration→administrative templates→system→turn off auto play→enable→all drive→ok. (Windows 7 এর জন্য প্রযোজ্য নয়।)

Antivirus software ব্যবহার করা
ফ্রী Antivirus software এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো Avast Antivirus। এটিতে নতুন ভার্সন ও ভাইরাস definition অটো আপডেট হয়।
Antivirus software এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য নিচের কোডটি কপি করে Back4uvirus.com নামে সেইভ করুন।
X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H*
সেইভ করার সময় এন্টিভাইরাস সতর্কবাণী দেখাতে পারে। যদি দেখায় তবে বুঝতে হবে এন্টিভাইরাসটি ঠিকমত কাজ করছে।
বি. দ্র. এটি কোন ভাইরাস নয়, EICAR দ্বারা develop করা একটি স্ট্যান্ডার্ড ট্যাস্ট ফাইল।

ব্রাউজারে safe browsing tool ব্যবহার করা
ইন্টারনেটে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে ব্রাউজারে extension যোগ করা যায়। এমন একটি extension হলো web of trust বা সংক্ষেপে WOT. কোন ওয়েবসাইটে যদি ভাইরাস থেকে থাকে তবে এই extension ঐ ওয়েবপেইজটি ব্লক করে সতর্ক করে।
মজিলার ক্ষেত্রে Tools→add ons→get add ons এ গেলেই পাওয়া যাবে।
ইন্সটল করলে লোকেশান বারের কাছে একটি আইকন আসবে। ভিজিটকৃত সাইটটি নিরাপদ হলে এর রঙ হবে সবুজ।
*এছাড়া MCAFEE SITE ADVISOR ব্যবহার করতে পারেন।

Windows এর অপ্রয়োজনীয় ফিচার বন্ধ করা
*right button to my computer→properties→ advanced →setting(performance)→adjust for best performance→ok.
*এতে টাস্কবার ক্লাসিক ভিউ হয়ে যায়। এটি পরিবর্তন করতে ডেস্কটপ এর খালি জায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করে properties→appearance→windows & buttons এ পছন্দের visual style দিতে হবে। (windows 7 এ personalize এ যেতে হবে)
*যেহেতু এর ফলে XPতে common task চলে যায়, তাই এটি আনতে হলে যেতে হবে tools→folder options→show common task in folder→ok. (windows 7 এ common task থাকেনা।)

System Restore বন্ধ করা
এজন্য my computer এ right button ক্লিক করে properties, এরপর system restore এ যেতে হবে। এরপর C ড্রাইভ ছাড়া বাকী ড্রাইভগুলোর system restore বন্ধ করতে হবে। এতে ড্রাইভগুলোতে খালি জায়গার পরিমাণ বেড়ে যাবে। (Windows 7 এ system restore বন্ধ করা থাকে)

অটো চালু হওয়া প্রোগ্রাম বন্ধ করা
run→msconfig→ start up এ গিয়ে প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম (যেমন- অ্যান্টিভাইরাস) বাদে বাকীগুলো disable করা।

অপ্রয়োজনীয় সার্ভিসসমূহ বন্ধ করা
সিস্টেমের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভিসসমূহ চালু হয়ে যাবে – এর প্রয়োজন নেই। বন্ধ করতে হলে যা করতে হবে –run→msconfig→services→অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস disable.
Hide all microsoft service এ টোগল করে রাখাই ভালো।

শাটডাউনের সময় কমিয়ে দিন
1. run→regedit→ok→hkey_current_user→controlpanel→desktop→waittokillapptimeout→double click→1000→ok
2. run→regedit→ok→hkey_current_user→controlpanel→desktop→hungapptimeout→1000→ok
3. run→regedit→ok→hkey_user→.default→controlpanel→desktop→waittokillapptimeout→1000→ok
4. run→regedit→ok→hkey_local_machine→system→currentcontrolset→control→waittokillservicetimeout→1000→ok

অপ্রয়োজনীয় software আনইন্সটল করা
*যে সব সফটওয়্যার সব সময় কাজে লাগে না সেগুলো অপ্রয়োজনের সময় আনইন্সটল করে রাখা। এক্ষেত্রে আমার ভালো লাগে Iobit uninstaller. এর powerfull scan অপশনটি খুবই চমৎকার।
*অপ্রয়োজনীয় windows প্রোগ্রাম বন্ধ করতে Control panel→add or remove program→ add or remove windows components এ গিয়ে Accsessories & Utilities, Internet Explorer, Windows Media Player, Microsoft .NET Framework,…… ছাড়া বাকীগুলো থেকে ঠিক চিহ্ন তুলে দিয়ে next→ok দিতে হবে।
*Windows এর গেইমস remove করতে হলে run→appwiz.cpl→ add or remove windows components→details এ ক্লিক করে games থেকে ঠিক চিহ্ন তুলে দিতে হবে।
***আমার কাছে লক করার সফটওয়্যারগুলো অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। আপনার ফাইলগুলো zipped folder এ রেখে file এ গিয়ে add a password এ পাসওয়ার্ড দিলেই তো হয়ে গেলো।
***একটি চমৎকার সফটওয়্যার হচ্ছে freeopener. এটি দিয়ে অনেক ধরনের ফাইল খুলা যায়।

Portable software ব্যবহার করা
এগুলোতে ইন্সটলের ঝামেলা নেই, সিস্টেম ড্রাইভ এ জায়গাও দখল করে না। Portable software এর সমাহার রয়েছে www.portableapps.com এ। নিজে ও তৈরি করতে পারেন।

কম সাইজ এর সফটওয়্যার ব্যবহার করা
অন্যান্য সুবিধা একই থাকলে সিস্টেম ড্রাইভে কম জায়গা দখল করে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা। যেমন- Adobe Reader (204MB) এর পরিবর্তে Foxit Reader(11MB) ব্যবহার করা।

অযাতিত, অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করা
কাজ করার সময় অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল তৈরি হয়, যেগুলো ডিলিট করার ব্যবস্থা থাকেনা। তাই এগুলো ম্যানুয়্যালি ডিলিট করতে হবে।
*run→eventvwr→select application, system, ……, microsoft office sessions →action→clear all events→no
*run→ prefetch→ ok→ ctrl+A →shift+delete
*run→%temp%→ok→ select all→shift+delete
*run→temp→ok→ select all→shift+delete
*run→cleanmgr→select drive→ok
*run→recent→ ok→ select all→shift+delete
*search→ .tmp, .old→ok→ctrl+A→shift+delete.
*F3→ .bac, .bak, .bck, .bk!, .bk$→ok→ctrl+A→shift+delete.
**ভালোভাবে দেখে .tmp, .old, .bac, .bak, .bck, .bk!, .bk$ ফাইলগুলো ডিলিট করবেন।

হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করুন
আপনি ফাইল তৈরি, মডিফাই, কপি, ডিলিট করে থাকেন। ক্রমাগত এসব করা কালে অনেক ফাইল ফ্র্যাগমেন্টেড হয়ে যায়। এর ফলে ডেটাগুলো কাছাকাছি থাকেনা, ডিস্কে ছোট ছোট ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। এরকম অনেক ফাঁকা জায়গা, ফ্র্যাগমেন্টেড ফাইল তৈরি হলে, আপনার প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম চালানোর সময় ফাইল খুঁজা এবং সকল ফ্র্যাগমেন্টেড ফাইল একত্রে লোড করতে অনেক সময় লাগে। ফলে পিসির সার্বিক পারফরমেন্স খারাপ হয়ে যায়। হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করতে হলে যা করতে হবে-
*run→dfrg.msc (Windows 7 এ dfrgui)→select hard disk drive→ defragment disk

ওয়েব ব্রাউজারের History ক্লিয়ার করা
যেকোন একটি ওয়েব পেইজ ভিজিট করলে ব্রাউজার তার একটি টেম্পোরারি ফাইল তৈরি করে। ফলে পরবর্তিতে ঐ পেইজটি ব্রাউজার নতুনভাবে লোড না করে টেম্পোরারি ফাইল ব্যবহার করে মুহূর্তেই উপস্থাপন করে। ক্ষণকালের জন্য ভালো হলেও দীর্ঘদিন টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট না করা হলে ব্রাউজার প্রথমে সবগুলো টেম্পোরারি ফাইল চেক করে এবং তদানুসারে পেইজ লোড করে। এতে ব্রাউজিং এর গতি কমে যায়, সময় বেড়ে যায়।
ডিলিট করতে হলে firefox এর ক্ষেত্রে ctrl+shift+delete→everything(time range to clear)→clear now

অতিরিক্ত ফন্ট ডিলিট করা
উইন্ডোজ সব ফন্টই স্টার্টআপের সময় মূল মেমোরিতে নিয়ে নেয়। ফলে বুটটাইম বেড়ে যায়। run→fonts এ গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো ডিলিট করে দেয়া যায়।
**সিস্টেম ফন্ট নিয়ে তালগোল পাকানো ঠিক নয়। সিস্টেম ফন্টের লিস্ট পাওয়া যাবে http://www.microsoft.com/typography/default.mspx ঠিকানায়।

ছোট একটি কৌশল
Notepad খুলে mystring=(80000000) লিখে ফাইলটি ram.vbe নামে সেইভ করতে হবে। তারপর run→regedit→ok→hkey_current_user→controlpanel→desktop→(left position)menushowdelay→0→ok.
File এ গিয়ে exit করে কম্পিউটার restart করতে হবে। কম্পিউটার চালু হলে ram.vbe ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করলে এটি background এ কাজ শুরু করবে। ফাইলটিকে startup এ রেখে দিলে প্রতিবার কম্পিউটার চালু করলে ফাইলটিতে ক্লিক করতে হবে না।
Desktop এর সৌন্দর্য বাড়াতে ফাইলটিকে Hidden করে রাখতে পারেন।

বাড়িয়ে নিন virtual memory
কম্পিউটারে RAM কম থাকলে কম্পিউটার ধীর গতির হয় যায় এবং একসাথে অনেক প্রোগ্রাম চালালে হ্যাং হয়ে যায়। Virtual memory (page file) বাড়িয়ে এ সমস্যা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
RAM যখন সম্পূর্ণ হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত memory হিসেবে virtual memory ব্যবহৃত হয়।
right button to my computer→properties→ advanced→setting of performance→advance
এখন change এ ক্লিক করলে নতুন যে window আসবে সেখানে সিস্টেম ড্রাইভ ছাড়া অন্য একটি ড্রাইভ (যেহেতু সিস্টেম ড্রাইভে কিছু virtual memory থাকেই) ক্লিক করে custom size অপশানে Initial size এ র‍্যামের সাইজের দ্বিগুন এবং Maximum size এ চারগুন লিখে set এ ক্লিক করে ok দিয়ে computer restart করুন। জমা হওয়া page file স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলতে
*control panel→Administrative Tools→local Security Policy→local policies→security options→shut down : clear virtual memory pagefile→enable→ok.
*HKEY_LOCAL_MACHINE→system→current contro set→control→session manager→memory management→disable paging executive→ভ্যালু দিতে হবে 1

**র‍্যামের চেয়ে হার্ডডিস্ক ধীরগতির।
আরো কিছু কথা
*ডেস্কটপে কম সংখ্যক আইকন রাখুন।
*হার্ডডিস্কের পার্টিশান সংখ্যা কম রাখুন। আমার কাছে চারটিই যথেষ্ট মনে হয়।
*মাউস কার্সারের ক্ষেত্রে ডিফল্ট কার্সার ব্যবহার করুন।
*এমন কোনো থিম ব্যবহার করুন যা ফোল্ডারের কালার পরিবর্তন করে। এক্ষেত্রে কিন্তু ভাইরাস যুক্ত ফোল্ডারের কালার পরিবর্তন হবেনা।
(ডিফল্ট হলুদ রঙের ফোল্ডার দেখতেও তো ভালো লাগেনা)
CustoPacks অথবা TuneUp Utilities এর customize windows টুলটি ব্যবহার করতে পারেন।
*মাঝে মাঝে হার্ডডিস্কের error চেক করে দেখুন। properties of drive→tools→error-checking→check now button→choose your option→ok
*crack, patch ব্যবহার না করাই ভালো।
*software এর আলফা , বিটা ভার্সান ব্যবহার না করাই ভালো।
*যাদের সৌন্দর্যবোধ নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই, তারা ডেস্কটপে কোন ওয়ালপেইপার না রাখলেই পারেন।

দু’টি সফটওয়্যার অযাতিত, অপ্রয়োজনীয় ফাইল, রেজিস্ট্রি এন্ট্রি ডিলিট করার জন্য দুইটি ভালো সফটওয়্যার হচ্ছে Uniblue power suite এবং TuneUp Utilities.

সবার উপর যা সত্য
Clock speed of CPU
CPU এর ক্লক স্পিড যত বেশি হবে প্রতি সেকেন্ডে পিসি তত বেশি instruction execute করতে পারবে। ক্লক স্পিড হার্জ এককে প্রকাশ করা হয়।
Register size of CPU
এটি হচ্ছে CPU’র মধ্যে মেমোরি এরিয়া। CPU যে ডেটা, ইন্সট্রাকশান প্রসেস করে সেগুলো রেজিস্টারে জমা হয়। রেজিস্টার সাইজ বলতে বুঝায় পিসি একবারে যে পরিমাণ ডেটা নিয়ে কাজ করতে পারে। বর্তমান পিসিগুলো 32, 64 bit registers.

Cache memory
CPU যেগুলো লোড করে সেগুলোই ধারণ করে ক্যাশ মেমোরি যা খুবই দ্রুতগতির। প্রোগ্রাম চালানোর সময় CPU প্রথমে প্রয়োজনীয় নির্দেশ ক্যাশ মেমোরিতে আছে কিনা চেক করে। যদি না থাকে তবে র‍্যাম হতে রিড করে এবং সাথে সাথে এর একটা কপি ক্যাশ মেমোরিতে হোল্ড করে। ফলে পরেরবার আর র‍্যাম এ যেতে হয়না। বুঝতেই পারছেন ক্যাশ মেমোরি কিভাবে সিস্টেমকে গতিময় করে তুলে।
Bus width, bus speed
কত দ্রুতগতিতে (bus speed) এবং কত বিট (bus width) ডেটা ট্রান্সমিট হতে পারবে তা বাস এর উপর নির্ভর করে।

RAM
পিসিতে যদি র‍্যাম কম থাকে তবে পিসি ঘনঘন ডেটা মুভ করতে থাকে র‍্যাম এবং হার্ডডিস্কের মধ্যে (যাকে বলে swapping)। যেটা পিসির performanceকে স্লো করে দেয়।

Post Comment

Wednesday, July 17, 2013

আচমকা ল্যাপটপ বন্ধ হলে কী করবেন?

ল্যাপটপ চলতে চলতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ল্যাপটপ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার এ সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা সম্ভব। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিসি ম্যাগের প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত না হয়ে করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
ল্যাপটপে কাজ করার সময় বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়, তবে যখন কাজের সুবিধার পরিবর্তে ল্যাপটপ অসুবিধা তৈরি করে তখন বিরক্তি লাগে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সবার আগে জানার প্রয়োজন পড়ে ঠিক কী কারণে ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আর এরকম ঘটতে থাকলে ল্যাপটপ নিয়ে কী করা যায় সে বিষয়গুলো। ল্যাপটপ যাতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে না যায় সেক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
কেন বন্ধ হচ্ছে ল্যাপটপ?
ল্যাপটপ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে তিনটি পরিচিত কারণ রয়েছে। এ তিনটি কারণে মূলত আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ তিনটি ঘটনায় ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে গেলে তা নিজে সমাধান করা সহজ।
প্রথম কারণ: বাহ্যিক
ল্যাপটপ বন্ধ হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে বাহ্যিক। ল্যাপটপ থেকে নির্গত অতিরিক্ত তাপের কারণে ল্যাপটপ গরম হয়ে এটা ঘটতে পারে। ল্যাপটপের ভেতর ধুলা জমে বা ল্যাপটপ থেকে বাতাস বের হতে না পারলে ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। ল্যাপটপে টানা গেম খেলা, ভিডিও চালানো বা দীর্ঘক্ষণ কাজ করা হলে ল্যাপটপের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ল্যাপটপ গরম হয়ে যায় যা ল্যাপটপ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ: অপর্যাপ্ত মেমোরি
মানুষের মস্তিষ্কের মতোই ল্যাপটপের র‌্যামে বিভিন্ন তথ্য ও প্রোগ্রাম চালু থাকে। র‌্যামের ক্ষমতার অতিরিক্ত চাপ পড়লেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এতে ল্যাপটপের গতি কমে যায়। এমনকি প্রসেসরের ওপর চাপ পড়লেই ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি ব্লু স্ক্রিন এর মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
তৃতীয় কারণ: সফটওয়্যার সম্পর্কিত
বায়োসের সমস্যা থেকে শুরু করে সফটওয়্যার বাগ, ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের কারণেও ল্যাপটপ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
দ্রুত কী ব্যবস্থা নেবেন?
ল্যাপটপ হঠাৎ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে দেখলে এর কারণ যাই হোক না কেনো সব সময় প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
. প্রথমত যে প্রোগ্রামটির কারণে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেটা বন্ধ করে দিন। যদি একটি প্রোগ্রাম চালু থাকার সময় ল্যাপটপে সমস্যা দেখা যায় তবে সে প্রোগ্রামটি বন্ধ করলেই সমস্যা সাময়িক সমাধান হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে গিয়েও সমস্যা দেখা যায়। প্রোগ্রাম যদি আনরেসপনসিভ বা বন্ধ হতে না চায় তবে টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে তা বন্ধ করে দিতে পারেন। আবার কন্ট্রোল+অলটার+ডিলিট চেপেও প্রোগ্রামটি বন্ধ করা যায়। এ ছাড়াও কন্ট্রোল+শিফট+ইএসসি. চেপেও প্রোগ্রাম বন্ধ করতে পারেন।
২. যদি প্রোগ্রাম কোনোভাবেই বন্ধ করা না যায় তবে তখন শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। অধিকাংশ ল্যাপটপের ক্ষেত্রে বেশ কিছুসময় ধরে পাওয়ার বাটন চেপে ধরে রেখে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিতে হবে। সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ পাওয়ার বাটন চেপে রাখলে পাওয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এতেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তবে বিদ্যুৎ সংযোগ সরিয়ে ফেলুন এবং ব্যাটারি খুলে ফেলুন।
৩. দ্বিতীয় ধাপটি হচ্ছে ল্যাপটপ কতটুকু গরম হয়েছে তা পরীক্ষা করা। হাতে স্পর্শ করেই ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পারবেন। তবে সরাসরি হাত দিয়ে পরীক্ষার সময় অবশ্যই সচেতন থাকবেন যাতে হাত পুড়ে না যায়। ল্যাপটপ থেকে বাতাস বের হতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কী না বা ধুলা জমেছে কিনা পরীক্ষা করে দেখুন।
সারাইখানা
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা সাধারণত ধুলো পরিষ্কার করলেই সেরে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ল্যাপটপের ফ্যান বা হিট সিঙ্ক ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় করণীয়গুলো ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই নানা টিউটোরিয়াল থেকে জেনে নিতে পারবেন। তবে নিজে ল্যাপটপ খোলার ঝুঁকি নিতে না চাইলে অবশ্যই পেশাদার সারাইখানায় নিয়ে সমস্যা সমাধান করে নিতে পারবেন।
ল্যাপটপের মেমোরি সমস্যা সমাধান করতে হলে আপনার ল্যাপটপে মেমোরি দখল করেছে কোন প্রোগ্রাম তা বের করুন। টাস্ক ম্যানেজারের ‘প্রসেস’ ট্যাব থেকে আপনি আপনার ল্যাপটপের চলমান প্রসেসগুলো জানতে পারবেন। কোনো প্রোগ্রাম চালু না করে আপনি কোন প্রোগ্রাম কতটুকু জায়গা নিয়েছে তা দেখে নিতে পারবেন। যদি কোনো প্রোগ্রাম চালু না থাকা অবস্থায় অনেক বিশাল জায়গা ব্যবহৃত হচ্ছে দেখায় তবে সমস্যা রয়েছে বলেই ধরে নিতে হবে। যদি ফিজিক্যাল মেমোরির বেশির ভাগ খালি থাকে তবে সর্বশেষ ব্যবহৃত প্রোগ্রামটি আবার চালু করে দেখতে পারেন। এভাবে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলো কতটুকু মেমোরি ব্যবহার করছে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। উইন্ডোজ মেমোরি ডায়াগনস্টিক টুল থেকে মেমোরি টেস্ট দিয়েও এ পরীক্ষা চালাতে পারেন। যদি জায়গার স্বল্পতা দেখায় তবে অবশ্যই আপনাকে কিছু প্রোগ্রাম আন ইনস্টল করে জায়গা ফাঁকা করতে হবে। মেমোরি দখল করে এমন অপ্রয়োজনীয় ফাইল, প্রোগ্রাম সরিয়ে ফেলুন এবং হার্ডড্রাইভে অধিকতর ফাইল সংরক্ষণ করুন। ল্যাপটপে র‌্যাম বাড়ান এবং মেমোরি উন্মুক্ত রাখুন।
ল্যাপটপে যদি সফটওয়্যার জনিত সমস্যা হয় তবে দুটি উপায়ে সমাধান করা যেতে পারে। একটি হচ্ছে সিস্টেম রিস্টোর পদ্ধতি। সিস্টেম টুলস ফোল্ডার থেকে সিস্টেম রিস্টোর করে ল্যাপটপকে একেবারে প্রথম থেকে চালু করা যায়। দ্বিতীয় সমাধান হচ্ছে ল্যাপটপের ড্রাইভার আপডেট ও ভাইরাস স্ক্যান।
ল্যাপটপের ব্যাটারি আয়ু বাড়ানোর পরামর্শ
ল্যাপটপে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন অথচ এমন সময়ে দেখলেন ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে ল্যাপটপ। অধিকাংশ ল্যাপটপে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। খুব বেশি কাঠখঢ় না পুড়িয়েও কয়েকটি ছোট পরামর্শ মেনে চললে ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো সম্ভব।
ব্রাইটনেস কমাতে পারেন
মুঠোফোনের মতো ল্যাপটপের ডিসপ্লে অতিরিক্ত চার্জ ব্যবহার করে ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়। তাই ডিসপ্লের ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখতে পারেন। এ ছাড়া কিবোর্ডের ব্যাকলাইট বন্ধ করে রাখুন।
ইউএসবি সাবধানতা
ইউএসবির মাধ্যমে ল্যাপটপে যুক্ত করা এক্সটার্নাল পণ্য ল্যাপটপের ব্যাটারি থেকে চার্জ গ্রহণ করে। ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে কাজ শেষ হলেই এক্সটার্নাল ডিভাইসগুলো সরিয়ে ফেলুন। ইউএসবি থেকে ভাইরাস ল্যাপটপে আসতে পারে। তাই ইউএসবি ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। ব্যবহারের আগে স্ক্যান করে নিন।
ল্যাপটপ ঠান্ডা রাখুন
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হলে এর ভেতরের পাখা দ্রুত ঘুরতে থাকে, যা ব্যাটারি থেকে অতিরিক্ত চার্জ ব্যবহার করে। তাই ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হওয়া ঠেকাতে ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাপটপ স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখার চেয়ে হাইবারনেট মোডে রাখুন।
পাওয়ার প্ল্যান সেট আপ
উইন্ডোজনির্ভর ল্যাপটপগুলোতে পাওয়ার প্ল্যান সেটিংস বিল্ট ইন থাকে। এই পাওয়ার প্ল্যান থেকে সুবিধামতো অতিরিক্ত চার্জ গ্রহণ করে, এমন বিষয়গুলো বন্ধ করে রাখতে পারেন।
পেশাদারদের কাছে যাবেন কখন?
ল্যাপটপের সমস্যা সমাধানের এ সাধারণ উপায়গুলো যখন ব্যর্থ হবে তখনও হতাশ হওয়া কোনো কারণ নেই; আছে, আর দুটি পথ খোলা রয়েছে আপনার সামনে। একটি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন গুগলে অনুসন্ধান করা। ল্যাপটপের মডেল নম্বর ও সমস্যার কথা লিখে গুগলে সার্চ দিন। আপনার ল্যাপটপের সমস্যা জানিয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বরাবার মেইল করতে পারেন। যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ল্যাপটপ কিনেছেন তাদের সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।
যখন আর কোনো উপায়ই কাজে আসবে না তখন কম্পিউটার মেরামতের দোকান বা সারাইখানার খোঁজ করবেন। আপনার আশে পাশে পরিচিত অনেক কম্পিউটার সারাইখানাই পাবেন, যেখানে হঠাৎ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া ল্যাপটপ সমস্যা নিয়ে অনেকে যান। এসব সারাইখানায় অনেক বড় সমস্যা দেখিয়ে প্রচুর অর্থ দাবি করে। ল্যাপটপ সারাই করার খরচ সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হয়। ল্যাপটপের সামান্য সমস্যায় অনেককেই বিপর্যস্ত হতে দেখা যায়, সমস্যা সমাধানের সামান্য কিছু কৌশল জানা থাকলে সমস্যা সমাধান করা যায় নিজেই।

Post Comment

Sunday, April 1, 2012

কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চোখের যত্ন


আপনাকে হয়তো প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে; এজন্য অনবরত তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে মনিটরের দিকে। হয়তো স্ক্রিনে পড়তে পড়তে আগের লাইনের সঙ্গে পরের লাইন মিশে যায় বা একটি শব্দ পার্শ্ববর্তী শব্দের সঙ্গে মিশে যায়; মনিটরে কাজ করতে করতে মাথা তুললে কিছুক্ষণের জন্য দূরের জিনিস ঝাপসা দেখায়; কখনও বা একটি জিনিসের দুটো ইমেজ দেখা যায়। এক্ষেত্রে আপনার আশঙ্কা হতে পারে, নিয়মিত কম্পিউটারে কাজ করতে করতে আপনার চোখের কোনো ক্ষতি হলো কিনা?
কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম বা সিভিএস
আপনাকে আশ্বস্ত করে বলা যায়, কম্পিউটারে কাজ করার জন্যই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—এখনও এমন অভিযোগ শোনা যায়নি। তবে কম্পিউটারের মনিটর নিয়ে যারা নিয়মিত কাজ করেন তাদের প্রায় ৬০-৭০ ভাগ কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম বা সিভিএস দ্বারা আক্রান্ত। মনিটর কিন্তু এই সিন্ড্রোম তৈরি করে না। আসলে চোখের গঠনগত, কার্যগত বা জৈব রসায়ন ঘটিত অসঙ্গতির কারণে যদি কম্পিউটারে স্বাভাবিক কাজের বিঘ্ন ঘটে, তবে সেই পরিস্থিতিই হলো কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম বা সিভিএস। কারও যদি সিভিএস আসে এবং তা যদি আমলে না নিয়ে কাজ করার প্রবণতা থাকে, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নানা রকম জটিলতার জন্য হয়তো কম্পিউটারের কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে বা কম্পিউটারে কাজ করা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হতে পারে।
এজন্য যা যা করতে পারেন
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণে মনিটর এবং চোখের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত। যেমন—
১. মনিটরের গুণগত মান ভালো হওয়া চাই।
২. কম্পিউটারের মনিটর যেন সব সময় চোখের লেভেল ৪ ইঞ্চি-৮ ইঞ্চি নিচে এবং ২০ ইঞ্চি-২৮ ইঞ্চি দূরে থাকে। মনিটরটা সামান্য উপর দিকে রাখতে হবে।
৩. মনিটরের উজ্জ্বলতা এবং কনট্র্যাস্ট লেভেল চোখের সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত। বর্ণের আকার যতটা সম্ভব বড় এবং কম্পিউটার স্ক্রিনের ব্যাকগ্রাউন্ডের রং চোখের পক্ষে আরামদায়ক হওয়া উচিত।
৪. ঘরের আলো এমনভাবে রাখতে হবে যাতে সেই আলো সরাসরি মনিটর বা চোখের ওপর এসে প্রতিফলিত না হয়।
৫. কি-বোর্ড হাতে রপ্ত হলে ভালো, না হলে কি-বোর্ডকে মনিটরের যতটা সম্ভব কাছে রাখতে হবে যাতে মনিটর থেকে কি-বোর্ডে চোখের মুভমেন্ট কম হয়।
৬. যদি অফিসঘর অপরিসর হয় এবং বাইরের দৃশ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে মনিটরের উল্টো দিকে বা প্রয়োজনে স্ক্রিন সেভাবে এমন কোনো ল্যান্ডস্কেপ রাখতে হবে যেটা অবসর সময়ে চোখকে আরাম দেবে।
চোখের সাবধানতা নিয়ে কথা
চোখের পলক স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ১২-১৪ বার পড়ে। কিন্তু আমরা যখন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকি, তখন চোখের পাতা পড়ার হার অনেক কমে আসে। চোখের পাতা কম পড়ার কারণে চোখের উপরিভাগের আর্দ্রতা কমে যায়। যারা এসিতে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এটা আরও ত্বরান্বিত হয়। একে ‘ড্রাই আই’ বলে।
বার বার চোখের পাতা ফেলতে হবে
চোখের পাতার অনেক কাজের মধ্যে একটা প্রধান কাজ হলো অশ্রুগ্রন্থি নিঃসৃত পানিকে চোখের মধ্যে সমভাবে ছড়িয়ে দেয়া; যাতে তা চোখের উপরিভাগের আর্দ্রতা, মসৃণতা, পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে বা বাড়িয়ে তোলে। এর অভাবে চোখের নানা উপসর্গ হতে পারে, যা সিভিএসের জন্য ভীষণভাবে দায়ী। সে কারণে প্রথম প্রথম খুব সচেতনভাবে বার বার চোখের পাতা ফেলার অভ্যাস করতে হবে। পরবর্তী সময়ে যা সু-অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।
দরকার চোখের বিশ্রামের
সাম্প্রতিককালে কম্পিউটার জগতে ২০/২০ বা ৬০/৬০ আন্তর্জাতিক স্লোগান চালু হয়েছে, যার অর্থ আপনি কম্পিউটারে টানা যত মিনিট কাজ করবেন, ঠিক তত সেকেন্ড চোখকে বিশ্রাম দেবেন। কম্পিউটারে কাজ করার ফাঁকে উচিত ঘাড়ের দু’একটা ব্যায়াম করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নিয়ম করে চোখেমুখে একটু পানি দেয়াা।
— চোখের ত্রুটির কারণে অনেককেই চশমা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে চশমা একটা বিরাট অন্তরায়। এর থেকে রেহাই পেতে হলে আপনাকে নিতে হবে এমনই একটা চশমা যেটা আপনাকে কম্পিউটারে সাবলীলভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে। অবশ্যই সেটা হবে এমন একটা চশমা, যেটা মনিটরকে দেখতে এবং একইভাবে কাছের জিনিস দেখতে সাহায্য করবে। অর্থাত্ যেটাকে কাছের এবং মধ্যবর্তী দূরত্বের কম্বিনেশন চশমা বলা হয়ে থাকে।
— স্ক্রিনটা ২০ ইঞ্চি-১৪ ইঞ্চিকে কাছের দূরত্ব ধরা হয়। চশমার উপরিভাগ দিয়ে মনিটর দেখা যাবে আর নিচের অর্থাত্ বাইফোকাল অংশ দিয়ে কাছের কাজ করা চলবে। অবশ্য এটা হাঁটাচলায় ব্যবহার করা যাবে না, সেক্ষেত্রে আলাদা আরেকটা চশমা রাখতে হবে। চশমার লেন্সে এন্টি রিফুলেকটিং কোটিংয়ের ব্যবহারও কম্পিউটারের কাজের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক কালে সমাদৃত হচ্ছে।
সচেতনতাই কাম্য
আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো চোখের পরিষেবা কেন্দ্র চালু হয়নি, যেখানে কেবল সিভিএস সংক্রান্ত বিশেষ বিভাগ বা বিশেষজ্ঞ আছেন। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার মতো কিছু কিছু উন্নত দেশে এ বিষয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে। বাস্তবতার তাগিদে এ ধরনের পরিষেবা আমাদের দেশেও চালু করা অত্যাবশ্যক। তবে যতদিন না তেমন কোনো পরিষেবা কেন্দ্র চালু হচ্ছে, ততদিন সবার সচেতনতাই কাম্য।

Post Comment

Monday, October 31, 2011

গুরুতর ভাইরাস আক্রমনের পরে যেভাবে উইন্ডোজ এক্সপি রি-ইন্সটল না করে পিসি রিকভার করবেন!!!


মানব শরীরে যেমন বিভিন্ন রোগের ভাইরাস জীবাণু আক্রমনের মাধ্যমে এক বা একাধিক রোগের সৃষ্টি করে ঠিক তেমনি কম্পিউটার ভাইরাসও নানা উপায়ে আপনার কম্পিউটারে ধংসাত্যক করমকাণ্ড ঘটাতে পারে। তো অনেক সময় কম্পিয়টারে ভাইরাস আক্রমণ ঘটতেই পারে। অনেক সময় ভাইরাস আক্রমণের পরে যখন কোন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে একে রিমুভ করা হয় তারপরও দেখা যায় যে পিসি আগের মতই মনে হচ্ছে। এর কারণ উইন্ডোজের যে সকল দরকারী ফাইল ভাউরাস দ্বারা ইনফেক্ট হয়েছিল সেগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে যায়।এমতাবস্থায় আপনার পিসিকে আগের মত সুন্দর ও গোছালো করতে আপনি কি করেন? নিশ্চই এক্সপি রি-ইন্সটল করেন যা বেশ সময় সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে আপনাকে সুন্দর একটি সমাধান দিতে রয়েছে রি-ইনেবল {Re-Enable}। এটি আপনাকে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত উইন্ডোজের দরকারী ফাইল গুলোকে রি-ইনেবল করে আপনার পিসিকে করে দিবে সম্পুর্ণ সুপার পিসি। নতুন করে ইন্সটল করলে পিসি যেরকম হয় ঠিক সেরকম হয়ে যাবে। আর তাছাড়া এক্সপি রি-ইন্সটল করলে আপনার ইন্সটলকৃত পূর্বের সফটওয়্যারগুলো রি-ইন্সটল করতে হয়। যা বেশ ঝামেলার। তাই ঝামেলায় না জড়িয়ে রি-ইনেবল ইউজ করে আপনার পিসিকে রাখুন সুস্থ সবসময়।

স্ন্যাপশটঃ

রি-ইনেবল এর মাধ্যমে আপনি যা যা রি-ইনেবল করতে পারবেন-

১.উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি।

২.কমান্ড লাইন টূল।

৩.টাস্ক ম্যানেজার।

৪.সিস্টেম রিস্টোর কনফিগ।

৫.ফোল্ডার অপশনস।

৬.রান কমান্ড।

৭.মাই কম্পিউটার।

৮.টাস্ক সিডিউলার।

৯.রাইটক্লিক কন্টেক্সট মেন্যু।

১০.এম.এস কনফিগ।

১১.কন্ট্রল প্যানেল।

১২.সার্চ

এটি মুলত এক্সপির জন্য তৈ্রি হলেও ভিস্তাতেও কাজ করে।

ডাউনলোড করুন এখানে {মাত্র ৭৭৩ কেবি}


 ***এটি চালাতে হলে আপনার কম্পিউটারে ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ইন্সটল করা থাকতে হবে। যদি ডট নেট ফ্রেমওয়্যার্ক ইন্সটল করা না থাকে তাহলে এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন



এটি পুর্বে http://www.djarifrocks.tk তে প্রকাশিত।

(সম্পূর্ণ লেখাটি  এখান থেকে নেয়া)

Post Comment

Sunday, October 30, 2011

হার্ডডিস্কের খোজ নিয়ে দেখেছেন কখনো, সে কেমন আছে?


কম্পিউটার চালাচ্ছেন। ইউপিএস নাই, কারেন্ট চলে যাচ্ছে বারবার। ইউপিএস থাকলেও ব্যাকআপ দেয় না মাঝে মাঝে। এরকম কত ঝড়তুফান যাচ্ছে হার্ডডিস্কের ওপর দিয়ে আপনি হয়তো বুঝতেই পারেন না। এভাবে চলতে থাকলে সে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একদিন হঠাত করে মারা যায়। তখন আপনার মাথায় হাত। তাই সময় থাকতে দেখে নিন তার শারীরিক অবস্থা কেমন আছে। খারাপ হতে থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। এতে ডেটা লসের হাত থেকে বেঁচে যাবেন।

HDD-Health

এটা রান করে হার্ডডিস্ক সিলেক্ট করলে হেলথ দেখতে পাবেন।

HDD-Scan 

এটা রান করে SMART সিলেক্ট করেন। তারপর দেখেন সব Attribute Name এর পাশে সবুজ আইকন আছে কি না। সবুজ থাকলে ঠিক আছে। হলুদ হলে সমস্যা আছে তবে গুরুতর কিছু না। লাল হলে তো বুঝতেই পারছেন।

তাছাড়া দুইটাতেই আরো অনেক অপশন আছে। এগুলা দেখলেই বুঝবেন।

আপনার আমার সকলের হার্ডডিস্ক দীর্ঘজীবি হোক

Post Comment

Tuesday, October 25, 2011

মায়ের ছবি ঐ ফ্রেমে বাঁধানো...আমার দিকে চেয়ে আছে... শুধু মা নেই।

‘কিছুদিন আগে এক মা এখানে মারা গেলেন। অফিস থেকে তাঁর ছেলের কাছে ফোন করা হলো। ছেলে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে চাকরি করেন। তাঁকে আসতে বলা হলে তিনি আসবেন বলে কথা দেন। তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে করতে সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে আরও কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে জানাজা করে লাশ কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে আমি ওই ছেলেকে ফোন করি। তিনি জানান, মায়ের লাশ দেখতে আসার সময় নেই তাঁর। আমরা যেন দাফন করে কবর দিই।’

উপরের কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা খতিব আবদুল জাহিদ। যিনি মুকুল নামেই বেশি পরিচিত।

একজন মা কত কষ্টে একজন সন্তানকে দুনিয়ায় আলো দেখান তা যদি ছেলেটি জানতো হয়ত চন্দ্রে অভিজানে থাকলেও সে তার মাকে শেষবারের জন্য ছুটে আসতো দেখতে। ছেলেটি যদি জানতো প্রায় বছর সময় ধরে কত কষ্ট সে তার মাকে দিয়েছিল গর্ভে, তবে সে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কাজ ফেলে ছুটে আসতো মায়ের শেষ যাত্রায়। যদি জানতো কত কষ্টে আর জ্বালাতন সহ্য করে তাকে তিলে তিলে মা দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তবে সে পাগলের মত ছুটে আসতো মাকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য। না সে আসেনি। হয়ত বিধাতায় চাননি এমন হারামজাদা সন্তান দেখুক তার মাকে যে জীবদ্দশায় তার সেবা না করে রেখে এসেছিল বৃদ্ধাশ্রমে। বিধাতা হয়ত চাননি এই হারামজাদা মার কবরে মাটি দিয়ে তাকে অশ্রদ্ধা করুক। বিধাতা ঠিক কাজই করেছেন তাকে সেখানে না নিয়ে। শেষ করছি একটা ছোট কবিতা দিয়ে,

''বিধাতা তোমার কাছে মোর ফরিয়াদ
দিওনা কো কভু কোন মায়ের কোলে এমন সন্তান
মানব তো নয়, পশু সন্তানও হবার যোগ্য সে নয়
অবোধ লীলায় স্বর্গের চাবি দূরে ঠেলে দিতে যে পেরেশান''

মা' কে নিয়ে অখ্যাত এক শিল্পীর অবিশ্বাস্য আবেগের একটি গান-



আর নচিকেতার অমর সেই গান দিয়ে

‘ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার/
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার-ওপার/
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামি দামি/
সবচেয়ে কম দামি ছিলাম একমাত্র আমি/
ছেলের আমার, আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম/
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।’


*লেখাটির ছবি এবং উপরের কোট করা অংশটি "ছুটির দিনের" ৮ অক্টোবর সংখ্যা থেকে নেয়া। 

Post Comment

Saturday, October 22, 2011

খালি পায়ে হাটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

খালি পায়ে হাটা ও দৌড়ানো অনেক ক্ষেত্রেই জুতা পরে হাটার চেয়ে বেশি উপকারী। পায়ের বেশ কিছু রোগের জন্য আমেরিকার বিশেষজ্ঞ দল জুতা পরে হাটাকেই দায়ী করেছেন। হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানী ডেভিস মূলতঃ মানুষের চলাফেরা এবং এর উপরে বর্তমান সময়ের জুতাগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা গবেষণা করছেন।

pavement pounders prone সহ বেশ কিছু রোগের জন্য নিয়মিত জুতা পরে দৌড়ানোকেই দায়ী করেছেন- চিকিৎসকগণ।


তিনি জানান,

“যখন আপনি হিলওয়ালা জুতা পরে দ্রুত দৌড়ান তখন পায়ের একটি অংশে শরীরের সম্পূর্ণ ভর দেওয়া হয়, এবং অন্য অংশে কোন চাপ পরে না। এবং যদি খালি পায়ে হাটা হয় তখন সম্পূর্ণ পায়ে-ই একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। “

এই বেপারে পর্যবেক্ষণের জন্য কেনিয়ার রানারদের উপরে পরীক্ষা চালানো হয়। তাদেরকের জুতা পরে নিয়মিত দৌড়ানোর পরে খালি পায়ে দৌড়াতে দিলে তাদের পায়ে একটি ব্যথা অনুভব হয়। জুতা পরে দৌড়ালে চলাফেরার জন্য আলাদা একটি প্যাটার্ণ তৈরী হয়। মাংশপেশীগুলোও সেই ভাবে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। কিন্তু খালি পায়ে হাটলে সেই মাংশপেশীতে আবার টান পরে এবং তাই ব্যথা অনুভব হয়।

এজন্য অবশ্য এমন ধরনের জুতা বানানো যেতে পারে যার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিকতা বজায় থাকবে এবং পায়ের সাধারন চরাফেরায় ব্যঘাত হবে না।

Post Comment