• আমার স্নায়ু ও মস্তিষ্ক সবসময় শান্ত, সজাগ ও সজীব থাকবে। আমি শক্তিমান হবো, দীর্ঘায়ু হবো, প্রজ্ঞা ও অতিচেতনার অধিকারী হবো, সুখী হবো। আমি আমার অসীম শক্তিকে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারবো। আমি উন্নীত হবো অনন্য মানুষে।
• কর্মব্যস্ততা দুশ্চিন্তা দূর করে। আমি সবসময় ভালো কাজে ব্যস্ত, আমি সুখী।
• শিশুসন্তানের মতোই বয়োবৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নেবো। তাদের দোয়া ও আশীর্বাদে আমি সুখী হবো।
• রাগ-ক্রোধ পরাজয় ডেকে আনে। আমি আমার রাগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখবো।
• আনন্দের অনুভূতি শক্তিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে লাগায়, আমি আনন্দের অনুরণন নিয়ে দিনের কাজ শুরু করবো।
• অতীত হারিয়ে গেছে। ভবিষ্যত হচ্ছে একটা প্রতিশ্রুতি, বর্তমান হচ্ছে নগদ। এই নগদকে আমি প্রজ্ঞার সাথে কাজে লাগাবো।
• আমি একজন রোগীকে সবসময় বলবো, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। এ ধরনের রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তির কথাও তাকে জানাবো।
• আমি সবসময় যুক্তিসঙ্গত কথা বলবো। আমার যুক্তিসঙ্গত কথা সহজেই অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
• ডাক্তার বা অন্য যেকোনো পেশাজীবী অথবা বিশেষজ্ঞ কারো সঙ্গে পরিচিত হলেই পরামর্শ চাওয়ার প্রবণতা থেকে সচেতনভাবে দূরে থাকবো।
• আমার হৃদয়ের প্রশান্তি চারপাশের মানুষকে আকৃষ্ট করবে, আমার সংস্পর্শ অনুপ্রাণিত করবে অন্যদের। আমি হবো লাখো মানুষের আত্মিক আশ্রয়স্থল।
• পরিবারের সবার প্রতি আমি সুন্দরভাবে খেয়াল রাখবো। প্রয়োজনে এরাই হবে আমার অনুপ্রেরণার উৎস।
• ই-মেইল, এসএমএস বা চিঠিপত্রের প্রত্যুত্তরে আমি তৎপর হবো।
• ছোটখাটো যে কাজগুলো নিজেই করে নিতে পারি তা সবসময় নিজে করবো।
• মডেল পথ দেখায় আর সমালোচক শুধু সমালোচনাই করতে থাকে। আমি আমার বিশ্বাসের মডেল হবো।
• আমি নিয়মিত দিনে দুবার মেডিটেশন করবো। যত মেডিটেশন করবো তত ধ্যানের গভীর স্তরে প্রবেশ করবো।
• জ্ঞানের জানালা খোলা রয়েছে আমার। তাই আমি সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
• সত্য অন্তরে লুকিয়ে থাকে। তাই সত্যের সন্ধানে ভবঘুরের মতো ঘুরে কোনো লাভ নেই। আমি আমার অন্তরেই সত্যকে খোঁজ করবো।
• শোকর হলো আনন্দে স্নাত হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন আর সবর হলো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নীরব নিরলস সংগ্রাম। শোকর আর সবর আমার পাথেয়। সাফল্য আমারই।
• কোয়ান্টায়ন বা গভীর মৌনতার মাঝেই অন্তর্গত শক্তি সঞ্চারিত হয়। আমি নিয়মিত কোয়ান্টায়ন করবো।
• সারা পৃথিবী আমার। মনছবির ডানা মেলে আমি উড়ে বেড়াবো সাফল্যের নভোনীলিমায়।
• জীবন স্রষ্টার পক্ষ থেকে আমার জন্যে এক অমূল্য উপহার। নির্মোহ ভালবাসায় জীবনকে অর্থবহ করে তুলবো।
• অমূলক ভয়-ভীতি ও নেতিবাচক চিন্তা বা কথার প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া থেকে আমি নিজেকে পুরোপুরি মুক্ত রাখবো।
• কান্না দুঃখজনিত আবেগ ও বিষণ্নতা কাটানোর এক প্রাকৃতিক নিরাপত্তা প্রক্রিয়া। স্থান-কাল বুঝে নীরবে অথবা হৃদয় নিংড়ে আমি কাঁদবো।
• জীবনে আমি হবো লাখো মানুষের ভরসাস্থল। মরণেও তারা হৃদয়ের অশ্রুতে শেষ বিদায় জানাবে আমাকে। তারপরও প্রজন্মের পর প্রজন্মের হৃদয়ে বেঁচে থাকবো আমি তাদের আনন্দে বেদনায় সংকটে সম্ভাবনায়। অনন্য মানুষরূপে আমি হবো তাদের প্রেরণার উৎস।
• আমি মহাজাগতিক মুসাফির। মৃত্যুর মাধ্যমেই সূচনা হবে পরবর্তী যাত্রা। মৃত্যুর আগে আমার শেষ শব্দটি হবে আমার প্রভুর নাম। অনন্ত প্রশান্তি ও আনন্দলোক আমারই জন্যে।
• এমনভাবে কাজ করবো যাতে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলতে পারি- প্রভু ! আমি প্রস্তুত।
• ওপরে যত উঠবো পা ফসকালে নিচে পড়বো ততটাই। তাই সাফল্য খ্যাতি আমি যত পেতে থাকবো, তত সচেতন হবো ভুলের ব্যাপারে।
• সত্য আমার বন্ধু। আর সত্যের মতো আমার বিজয়ও সুনিশ্চিত।
• হে প্রভু! আমি তোমার দাস। তোমার ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা। আমার জীবনে শুধু তোমার ইচ্ছাই প্রতিফলিত হোক।
• মহৎ কিছু করার জন্যে আমি পৃথিবীতে এসেছি। আমার দায়িত্ব শেষ করার পরই আমি মৃত্যুকে স্বাগত জানাবো।
• একজন ভোগবাদীর সবচেয়ে বড় ভয় হলো মৃত্যুভয়। মৃত্যু আমার কাছে শ্যামসমান। এটাই অনন্য মানুষের পথ।
• মহামানবরা কখনো তাদের শিক্ষাকে চাপিয়ে দেন নি। উদ্বুদ্ধ করেছেন। আমিও আমার বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবো।
• আমি অনন্ত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই আমার কাছে জীবন হয়ে উঠবে গভীর অর্থবহ এবং মহান লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যম। আমি প্রফুল্লচিত্তে পূর্ণ উদ্যমে পরিকল্পিত কাজগুলো সম্পন্ন করবো। প্রতিটি কাজ তৃপ্তির সাথে উপভোগ করবো।
• প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারী হচ্ছে বড় বীর। আমি আমার প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখবো।
• সৃষ্টির সেবায় যা ব্যয় করবো তা-ই আমার পরিত্রাণের উৎস। আমার অর্থ-মেধা-শ্রম থেকে আজ আমি সৃষ্টির সেবার জন্যে কিছু ব্যয় করবো।
• জন্মগ্রহণকারীর মৃত্যু সুনিশ্চিত। সকল কর্তব্য শেষ করে আমি তৃপ্তি নিয়ে মারা যাবো।
• তাত্ত্বিক তার তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে তর্ক করেই যান। কিন্তু অনন্য মানুষ বিশ্বাসের আলোকে বদলে দেন নিজের এবং তার অনুসারীদের জীবন। আমি অনন্য মানুষের পথে চলবো।
• আমি প্রার্থনায় মনোযোগী হচ্ছি। ফলে প্রতিবারের প্রার্থনাতেই আমি পুলকিত হচ্ছি, চমকিত হচ্ছি, স্রষ্টাকে উপলব্ধি করছি নিত্য নব মহিমায়, প্রতিটি চাওয়া পরিণত হচ্ছে পাওয়ায়।
• আমি নিয়মিত ইবাদত/ উপাসনা/ প্রার্থনা করবো। প্রতিটি কাজ স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্যে করবো। সৃষ্টির সেবায় নিজেকে নিবেদিত করবো। আমার মন ও আত্মা সত্যের আলোয় আলোকিত হবে। আমি স্রষ্টায় সমর্পিত।
• নিজে সুশৃঙ্খল না হলে অন্যকে সুশৃঙ্খল করা যায় না। আমি সুশৃঙ্খল হয়েই অন্যদের জীবনকে সুশৃঙ্খল করবো।
• ক্রেডিট কার্ড বাকিতে কেনার সুযোগ দেয় আর বাড়ায় অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা। ফলে নিজের অজান্তেই একজন ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আমি ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপারে সতর্ক থাকবো।
• শিশু যেমন দাঁড়াতে গিয়ে বার বার পড়ে যায় আবার উঠে দাঁড়ায় আমিও তেমনি ভালো হওয়ার জন্যে বার বার চেষ্টা করবো। ভালো হতে গিয়ে যতবার ভুল করবো, হোঁচট খাবো, ততবারই নতুন প্রত্যয়ে উঠে দাঁড়াবো। আমি ভালো হবো।
• রাগ-ক্রোধ-ক্ষোভ মস্তিষ্কে সেরোটনিনের প্রবাহ কমায় আর মেডিটেশন সেরোটনিনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেহ-মনে প্রশান্তি ও আনন্দ আনে। আমি নিয়মিত মেডিটেশন করবো।
• দুর্ব্যবহার শেষ পর্যন্ত নিজেরই অশান্তির কারণ হয়। আমি প্রশান্তির জন্যে সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করবো।
• ঈর্ষা দুর্দশা ডেকে আনে। ঈর্ষা না করে আমি আমার সাফল্যের জন্যে সকল শক্তি নিয়োগ করবো।
• মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আমি নিরলসভাবে আমার কাজ করে যাবো। প্রতিটি কাজ করবো শুধুমাত্র স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্যে।
• পৃথিবীতে অসাধারণ প্রতিটি অর্জন এসেছে খুব সাধারণ অবস্থা থেকে। আমার আজকের অবস্থান থেকেই আমি শুরু করবো আমার জয়যাত্রা।
• আমি আমার প্রতিটি অর্জনকে পর্যালোচনা করবো। আমার গুণাবলিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবো।
• সময় হচ্ছে এক ধারালো তরবারি। আমি একে ব্যবহার না করলে এ আমাকে কেটে ফেলবে। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাবো।
• কথোপকথনে শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার সম্পর্ক সুন্দর রাখে। পারস্পরিক সম্পর্কের সু-অনুরণন সৃষ্টি হয়। আমি শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করবো।
• আমি প্রকৃতির সাথে একাত্ম। প্রকৃতির অনুকূল বাতাসে সবসময় পাল তুলে দেবো। সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায় গন্তব্যে পৌঁছে যাবো।
• আমি আমার জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করবো। আমি অনন্য মানুষের পথ অনুসরণ করবো।
• স্রষ্টা মানুষকে কষ্ট ও পরিশ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন। আমি কষ্টসহিষ্ণু। শ্রমেই আমার আনন্দ। সাফল্য আমারই।
• আমি প্রতিটি সমস্যাকে বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবেলা করবো। এতে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ফলে ভবিষ্যৎ সমস্যাগুলোকে সহজভাবে সম্ভাবনায় পরিণত করতে পারবো।
• সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি আমার পথকে আলোকিত করবে। সঠিক লক্ষ্য হবে আমার পথ প্রদর্শক। প্রশান্তি ও আনন্দ হবে আমার প্রাপ্তি।
• আমি অনন্য মানুষ। বাইরের ওপর নির্ভরতা বাদ দিতে পারলেই স্বনির্ভর আত্মশক্তি জাগ্রত হবে। আমি জয়ী হবো।
• আমি বর্তমানের প্রতি মনোযোগী হবো। প্রতিটি মুহূর্তের বৈশিষ্ট্যকে অনুভব করবো। ফলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার উপকরণে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবো।
• আমি সৎসঙ্ঘে সঙ্ঘবদ্ধ হবো। সঙ্ঘ এক আত্মিক বন্ধন যা সীমাহীন প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি প্রদান করে। সৎসঙ্ঘ সবসময়ই আমার প্রেরণার উৎস হবে।
• আমি অন্যদের ব্যাপারে চিন্তা করে কথা বলবো। চিন্তা করে কথা বললে আমি অন্যদের মনেও সাফল্যের বীজ বপন করতে পারব।
• ফলাফল খারাপ হওয়ার দায়ভার নিজে নেবো। ভুলগুলো খুঁজে দেখবো। ভুলের পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকবো।
• অন্য বিজ্ঞানের জ্ঞান হচ্ছে খণ্ডিত। কিন্তু জীবনযাপনের বিজ্ঞান হলো পরিপূর্ণ। যা শুধু তথ্যই শেখায় না; শেখায় তথ্যকে জীবনে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া। আমি জীবনযাপনের বিজ্ঞান অনুশীলন করবো।
• দাওয়া, দোয়া ও দান- নিরাময়ের জন্যে আমি এ তিনের সমন্বয় করবো।
• সত্য চিরন্তন। আমি নিজের কাছে সবসময় সৎ থাকবো।
• চরিত্র সৌন্দর্য বাড়ায়। আমার চরিত্রই চারপাশের মানুষকে আমার দিকে আকৃষ্ট করবে।
• বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়ানোর অনেক ভালো পথ রয়েছে। আমার প্রজ্ঞা পথ শনাক্ত করতে সবসময় সহযোগিতা করবে।
• পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমার স্বাধীনতা বজায় রাখবো। আমার সাথে সম্পর্কের ব্যাপারেও প্রত্যেকেই মুক্ত থাকবে।
• প্রত্যেককেই আমি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো। ফলে আমার জীবন আরও ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে।
• আমার এখন ঘুমঘুম লাগছে। কিন্তু আমার এখন পুরোপুরি সজাগ ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আমি এখন পুরোপুরি সজাগ ও সতর্ক থাকতে চাই। আমি ০ থেকে ৭ গণনা করে যখনই চোখ মেলবো তখনই পুরোপুরি সজাগ ও সতর্ক অবস্থায় পৌঁছে যাবো এবং আগামী ….. ঘণ্টা/মিনিট পর্যন্ত পূর্ণ সজাগ, সতর্ক, উৎফুল্ল ও প্রাণবন্ত অবস্থায় আমার কাজ সম্পন্ন করবো।
• সঠিক সিদ্ধান্ত ও সুন্দর পছন্দের জন্যে আমি আমার প্রজ্ঞাকে ব্যবহার করবো।
• যেখানেই ফেলে রাখা হোক সোনা সবসময় সোনাই থাকে। আমার অন্তর পরিষ্কার। অন্তরের আলো কুৎসার কালিমা দূর করে দেবে।
• সত্য প্রকাশে আমি সবসময় সমমর্মী হবো।
• নিঃস্বর্থ সেবা করতে শিখলেই আমি সুখী হবো। আমি সেবা করতে শিখছি।
• আমি শুধু প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়েই চিন্তা করবো ও কথা বলবো। এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আমার পৃথিবীকেই পাল্টে দেবে।
• সঙ্ঘবদ্ধ দান আনে অফুরন্ত কল্যাণ। মাটির ব্যাংকে নিয়মিত দান করে আমি লাভ করবো অফুরন্ত কল্যাণ।
• আমার জীবনের আনন্দকে আমি অন্যদের সাথে আন্তরিকভাবে ভাগ করে নেবো।
• দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রকাশিত আচরণের সমন্বিত রূপ হচ্ছে চরিত্র। উভয় ক্ষেত্রেই আমি সবসময় প্রো-অ্যাকটিভ থাকবো।
• অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যে কৃত্রিম ও লোক দেখানো আচরণ বা অঙ্গভঙ্গি করা থেকে আমি বিরত থাকবো।
• আমি শোকরগোজার। আমি প্রশান্ত। যেখানেই যাই না কেন আমার উপস্থিতিই পরিবেশ প্রশান্ত করবে।
• আমি আমার নিজস্ব মেধাকে খুঁজে বের করবো। সাহসের সাথে আমি আমার মেধাকে বিকশিত করবো।
• নিয়মিত অনুশীলন না করলে মেডিটেশনের শক্তির স্বচ্ছ ফল্গুধারা এক আবদ্ধ ডোবায় পরিণত হয়। আমি নিয়মিত মেডিটেশন করবো। শক্তিতরঙ্গকে প্রবহমান রাখবো।
• গালগল্পে বা আড্ডায় সময় না কাটিয়ে তা সেবামূলক কাজে ব্যয় করবো।
• আমি যা হতে চাই বা যা পেতে চাই সেগুলোকে প্রথমে মনের কল্পনাতে লাভ করবো। বাস্তবে তা পাওয়ার জন্যে নিরলস কাজ করবো। মনছবির এই পথে আমার সাফল্য অনিবার্য।
• ঘৃণার আগুন ভালোকেও পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। আমি ঘৃণা থেকে মুক্ত থাকবো।
• নিয়মিত মেডিটেশন চিন্তাকে শাণিত, সিদ্ধান্তকে সঠিক ও বক্তব্য প্রকাশকে স্বতঃস্ফূর্ত করে। আমি নিয়মিত মেডিটেশন করবো।
• শুকরিয়া স্রষ্টার প্রতি ও নিজের সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাস এবং বিনয়কে প্রকাশ করে। আন্তরিক শুকরিয়া প্রকাশ করে আমি হবো সত্যিকার বিশ্বাসী।
• আহাম্মকরা অর্জিত লক্ষ্যে পরিতৃপ্ত হয়ে আরাম করে। আর বুদ্ধিমানরা প্রাপ্তির জন্যে শুকরিয়া আদায় করে ভবিষ্যৎ অর্জনে বেরিয়ে পড়ে। আমি বুদ্ধিমানের পথই অনুসরণ করবো।
• চারপাশের মানুষের প্রাপ্তির সাথে নিজের প্রাপ্তির তুলনা না-শুকরিয়ার প্রধান কারণ। তুলনা নয়, সুখী হওয়ার জন্যে আমি তাকাবো আমার অন্তরে।
• আমার মন থেকে রাগ ক্ষোভ ঘৃণা হিংসা দূর হয়ে প্রকৃতির প্রতি, মানুষের প্রতি প্রেমভাব সৃষ্টি হবে। আমার প্রতি মানুষ ও প্রকৃতির আনুকূল্য বৃদ্ধি পাবে। সৌভাগ্য আমার পদচুম্বন করবে।
• জীবন বদলের জন্যে প্রচুর অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি-সম্মান, বাড়ি-গাড়ি, সন্তান-সন্ততি নয়; প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বদল। আমি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বদলে দেবো আমার জীবন।
• আমি অন্যদের মানসিকতা বুঝতে পারি। তাই সবার সাথে মিলেমিশে সহজে কাজ করতে পারবো।
• সাফল্য শুরু হয় বিশ্বাস থেকে। আমি বিশ্বাসী। আমি জয়ী হবো।
• সঙ্ঘবদ্ধ কাজে বরকত বেশি। সবার অর্জনও হয় বেশি। আমি সবসময় সঙ্ঘবদ্ধ কাজ করবো। নেতৃত্বকে অনুসরণ করবো। প্রয়োজনে নেতৃত্ব দেবো।
• শক্তি দিয়ে অন্যকে পরাজিত করা যায়। কিন্তু জয় করার জন্যে প্রয়োজন মানবিকতা, নৈতিকতা। আমি জয় করার শক্তি অর্জন করবো।
• নিজের দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক শক্তিকে অব্যবহৃত রাখাই না-শুকরিয়া। আমি এ শক্তিগুলোকে পুরোপুরি কাজে লাগাবো।
• আমি পারবো, আমি করবো। উদ্যমী হয়ে কাজকে ভালবেসে আমি সফল হবো। আমি আমার মনের সকল শক্তি ও অর্জিত সাফল্যকে জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করবো।
• মেধা কাজে না লাগানো বা অপব্যবহারের পরিণতি হলো দারিদ্র্য, অশান্তি, হতাশা, বিষণ্নতা, আতঙ্ক। আমি আমার মেধাকে পুরোপুরি কাজে লাগাবো।
• দান বালা-মুসিবত ও রোগ-ব্যাধি দূর করে। দূর করে ভয়-পেরেশানি ও দুঃখ-কষ্ট। আমি নিয়মিত দান করবো।
• শুকরিয়ার প্রকাশ হিসেবে আমি প্রতিদিন আমার কাজের পরিমাণ বাড়াতে থাকবো।
• এখন থেকে আমার মন শুধু বিশুদ্ধ ও সৃজনশীল চিন্তা ও ধ্যান-ধারণাকে লালন করবে। বহতা নদীর মতো সবসময় প্রবাহিত এ সৃজনশীল চিন্তাধারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাকে ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করতে পরিচালিত করবে।
• কনজিউমারিজম বা পণ্যদাসত্ব টেনশন সৃষ্টি করে। অপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা থেকে নিজেকে সবসময় বিরত রাখবো।
• আমার বিশ্বাসের কথা বলতে হবে আমাকেই। নিঃসঙ্কোচে সুন্দরভাবে বলার কৌশল আমি আয়ত্ত করবো।
• ব্যক্তিকেন্দ্রিক চেতনার স্থায়িত্ব সাময়িক। সঙ্ঘকেন্দ্রিক চেতনা স্থায়ী। আমি সঙ্ঘচেতনার অংশ হবো।
• নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগিতাই হলো শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগিতা। গতকালকের ‘আমি’কে অতিক্রম করার জন্যে হবে আমার আজকের সকল প্রচেষ্টা।
• সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বিকল্পগুলোর সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করে বাছাই করবো। আমার সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আমি নিজেই নেবো।
• ক্লাসের পরীক্ষায় নকল করে ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে গেলেও জীবনের পরীক্ষায় পরিশ্রম-অনুশীলন ছাড়া উত্তীর্ণ হওয়া যায় না। আমি পরিশ্রমের মধ্যেই সবসময় আনন্দ খুঁজবো।
• বন্ধুত্ব দেয়ার নাম; পাওয়ার নাম নয়। নিজের এবং অন্যদের জন্যে আমি বন্ধুত্বের এ সংজ্ঞাই গ্রহণ করবো।
• সাময়িক সাফল্যে আত্মতৃপ্ত হবো না। বর্তমানের সাফল্যকে গ্রাউন্ড জিরো ধরে আমি এগুবো আরো বড় সাফল্যের দিকে।
• সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমি যোগ্যতা ও দক্ষতা আয়ত্ত করবো। উদ্ভাবন করবো কাজের প্রক্রিয়ার নতুন কৌশল। প্রতিযোগিতায় আমিই সফল হবো।
• বিরক্তি কাজের বরকত নষ্ট করে দেয়। আমি প্রতিটি কাজ করবো আনন্দিতচিত্তে। ফলাফল হবে চমৎকার।
• স্বনির্ভর না হলে অন্যকে সাহায্য করা যায় না। নিজে অর্জন না করলে অন্যকে বিতরণ করা যায় না। প্রশান্তি সুস্বাস্থ্য সাফল্যে আমি নিজে আগে বলীয়ান হবো।
• আমি জানি, আমার স্বপ্ন আমাকেই বাস্তবায়িত করতে হবে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাবো।
• প্রতিটি যুক্তি-প্রস্তাব-সম্ভাবনাকে আমি বাস্তবতার কষ্টিপাথরে পরখ করে গ্রহণ করবো।
• প্রস্তাব করার সহজাত অধিকার আমার রয়েছে। আমি যেকোনো প্রস্তাব বুঝে-শুনে পেশ করবো।
• পারস্পরিক সম্পর্কের জটিলতায় আবেগতাড়িত না হয়ে আমি নিরপেক্ষ মনে মূল্যায়ন করবো। অপরপক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টি দেখবো। সমস্যার সমাধান করবো দ্রুত।
• নতুন কিছুকে গ্রহণ করতে না পারা, অভ্যাসের দোহাই দেয়া হলো গোঁড়ামির প্রকাশ। আমি মুক্তমনা। যুক্তিসম্মত হলে নতুনকে গ্রহণ বা বর্জন করবো অনায়াসে।
• ভুল-বোঝাবুঝির ক্ষেত্রে আমি আমার ভুলগুলোকে খুঁজে বের করবো। প্রয়োজনে বদলাবো আমার আচরণ।
• যৌথ মেডিটেশনে আমাদের মন পারদের মতো একাত্ম হয়ে যায়। আমি সুযোগ পেলেই যৌথ মেডিটেশনে অংশ নেবো।
• জীবন শুরু করবো আমি বর্তমানের গ্রাউন্ড জিরো থেকে। সঠিক প্রক্রিয়ায় পরিশ্রম করে প্রতিটি সীমাবদ্ধতাকে রূপান্তরিত করবো নতুন সম্ভাবনায়।
• অহেতুক প্রশ্নের মধ্য দিয়ে মনে সংশয় আর বিভ্রান্তির বীজ বপন হয়। আমি অহেতুক প্রশ্ন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবো।
• দল মত ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে আমরা আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে প্রো-অ্যাকটিভ সৎ সহনশীল উদার সমমর্মী সৃজনশীল কর্মঠ সময়ানুবর্তী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবো। দেশকে ভালবাসবো। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ জাতির অন্তর্ভুক্ত হবো।
• অনন্য মানুষের পোশাক হলো শৃঙ্খলা। আমি সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিটি কাজ করবো।
• কোয়ান্টায়ন বা হিরণ্ময় মৌনতার মাঝেই অন্তর্গত শক্তি সঞ্চারিত হয়। নিরাময় প্রক্রিয়া হয় অনেক শক্তিশালী ও কার্যকর। সু্স্থ থাকার জন্যে আমি নিয়মিত কোয়ান্টায়ন করবো।
• আমি জ্ঞানী হবো। ধ্যানী হবো। প্রজ্ঞা ও অতিচেতনা অর্জন করবো। প্রতিটি ব্যাপারে জ্ঞান ও মেধাকে কাজে লাগাবো।
• সুযোগ পেলেই আমি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো। তাদের স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করবো।
• বিনা পরিশ্রমে পাওয়ার লোভই মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। আমি শুধু শ্রমের ফসলই ঘরে তুলবো।
• ঋণমুক্ত সচ্ছল জীবন আমার মৌলিক অধিকার। আমি এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।
• সন্তানকে আহ্লাদ না দিয়ে আদর ও শাসনের সমন্বয়ে লালন করবো।
• যা-কিছু জন্মেছে, তা মারা যাবেই। তাই মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও আমি আমার বিশ্বাসে অটল থাকবো।
• প্রশান্তির উৎস শুকরিয়া। আমি শোকরগোজার হবো। প্রশান্তি হবে আমার নিত্যসঙ্গী।
• সঙ্ঘায়ন শক্তিকে মহাশক্তিতে রূপান্তরিত করে। আমি সৎসঙ্ঘে সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছি। সাফল্য আমারই।
• যদি এই হতো বা এমন হতো- এ জাতীয় অলীক কল্পনা, স্বপ্ন বা কামনা রুদ্ধ করে জীবনের সম্ভাবনাকে। আমি অলীক কল্পনা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবো।
• কাজ শুরুর আগে আমি বিশেষজ্ঞ ও শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ নেবো।
• আহাম্মকরাই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে। আমি বুদ্ধিমান। তাই ভুল থেকে শিক্ষা নেবো।
• পশু-পাখির প্রতি আমি মমতাময়। তাদের বোঝা ও কষ্ট লাঘবে আমি সাহায্য করবো।
• সিগারেট, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস ও মাদককে আমি ‘না’ বলবো।
• কনজিউমার লোন শোষণের নতুন ফাঁদ। এই ফাঁদে পা না দিয়ে নিজের আয় অনুসারেই আমি ব্যয় করবো।
• অপরপক্ষের আর্থিক সততা ও বিশ্বস্ততা সম্পর্কে পর্যাপ্ত খোঁজখবর নেয়ার পরই তার সাথে লেনদেন করবো।
• এখন যৌবন যার সেবক হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার। প্রথম যৌবনেই আমি সেবক হবো।
• দুর্দশাগ্রস্তরা জ্ঞানীর কথা শোনে না, প্রভাবিত হয় প্রতারকের অলীক কথায়, চালবাজের চালবাজিতে আর শোষকের ভয়ে। দুর্দশা-বঞ্চনার বৃত্তেই ঘুরপাক খায় তাদের জীবন। আমি জ্ঞানীর কথা শুনবো। উড়ে বেড়াবো মুক্তির আনন্দলোকে।
• উপহার তা-ই যা স্বেচ্ছায়, আনন্দচিত্তে, দেনা-পাওনার কোনো শর্ত ছাড়াই আন্তরিকভাবে প্রদান করা হয়। আমি উপহারের বিনিময় প্রত্যাশা করা থেকে বিরত থাকবো।
• শ্রমানন্দ মেধা ও যোগ্যতাকে বিকশিত করে। আমি কাজ করবো শ্রমানন্দে।
• আমার ১৯তম জন্মদিন স্মরণীয় হবে প্রথম রক্তদানে। বাঁচাবো ৪টি প্রাণ।
• মনছবি মিজাইলের মতো লক্ষ্যভেদ করে। মনছবি হবে আমার চালিকাশক্তি।
• আমার যথার্থ আয়না আমিই। অন্যের চোখে নয়, নিজেকে দেখবো নিজের চোখে। অন্যের বিচার-বিশ্লেষণে প্রভাবিত হওয়া থেকে সবসময় বিরত থাকবো।
• আহাম্মকরাই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে। আমি বুদ্ধিমান। তাই ভুল থেকে শিক্ষা নেবো।
• যেকোনো আকর্ষণীয় ভালো বক্তব্যকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানাবো।
• যাকে আমি বিশ্বাস করি, যিনি তা সমাধানে আমাকে সহযোগিতা করতে পারবেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কথা আমি এমন কাউকেই বলবো।
• কোনো প্রশ্নের উত্তর সুনির্দিষ্টভাবে জানা না থাকলে তা নিঃসঙ্কোচে স্বীকার করবো। মনগড়া বা ভুল উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকবো।
• আলোচনা চলাকালে অন্যদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে বা বিরক্তি সৃষ্টি করে- এমন শব্দ, আচরণ ও গতিবিধি পরিহার করবো।
• জন্মদিনে রক্ত দেবো। বাঁচাবো ৪টি প্রাণ। হবে মহীয়ান জন্মদিন আমার।
• কথা ও তথ্যের ব্যাপারে বিশ্বস্ত থাকবো। পরামর্শগ্রহীতার যেকোনো কথা তার অনুমতি ছাড়া অন্যকে বলা থেকে বিরত থাকবো।
• পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্রে পূর্বধারণা থেকে নয়, তার বক্তব্য থেকেই তার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করবো। পরামর্শগ্রহীতার আগ্রহ বুঝে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবো।
• কারো শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে খোঁটা দেয়া থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকবো।
• রোগীকে রোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করে করে অযথা তাকে বিচলিত করা থেকে বিরত থাকবো।
• কোনোকিছু ব্যবহারের পর তা যথাস্থানে রাখবো।
• বাথরুম বা টয়লেট দ্রুত ব্যবহার করে অন্যদের সুযোগ দেবো।
• কারো রুমে ঢোকার আগে আমি অনুমতি নেবো আর ঢোকার সময় বিনয়ী ও আত্মপ্রত্যয়ী থাকবো।
• বাথরুম ও টয়লেট এমনভাবে ব্যবহার করবো যেন তা অন্যদের ব্যবহারের উপযোগী থাকে।
• যেকোনো অনুষ্ঠান চলাকালে সবসময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখবো।
• দীর্ঘজীবন, অনন্ত যৌবন, কালজয়ী মন, সুখ প্রতিক্ষণ। পৃথিবী আমারই।
• সিঁড়ি বা লিফটে যথাসম্ভব নীরবে ওঠা-নামা করবো।
• কারো রুমে ঢোকার আগে আমি অনুমতি নেবো আর ঢোকার সময় বিনয়ী ও আত্মপ্রত্যয়ী থাকবো।
• প্রতিবেশীর সমস্যা হয়- এমন শব্দে সিডি/ ক্যাসেট প্লেয়ার বা টিভি চালনা থেকে সবসময় বিরত থাকবো।
• আমি আমানতের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবো। যে জিনিস যেভাবে নিয়েছি তা সেভাবেই ফেরত দেবো।
• অনুমতি ছাড়া অন্যের চিঠি, ডায়েরি, এসএমএস পড়বো না, এমনকি খুলেও দেখবো না।
• বিনা অনুমতিতে কারো জিনিস ধরা, ব্যবহার বা অপসারণ করা থেকে আমি সচেতনভাবে বিরত থাকবো।
• কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করার আগে সে বিষয়ে নিশ্চিত হবো।
• আমি কথা বলবো, কিন্তু বাচালতা সবসময় পরিহার করবো।
• নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তা সবসময় রক্ষা করবো।
• ভাড়া বাড়িকে নিজের বাড়ির মতো যত্ন করবো, পরিচ্ছন্ন রাখবো।
• কোনো কিছু না জানলে আমি নিঃসঙ্কোচে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে শিখবো।
• নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকলে কোনো কুৎসা কাউকে কালিমালিপ্ত করতে পারে না। আমি সবসময় নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকবো।
• বক্তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবো। আলোচনার মাঝখানে কোনো মন্তব্য বা প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকবো।
• নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৫ মিনিট আগে আমি কর্মস্থলে উপস্থিত হবো।
• আমি এক অনন্য মানুষ। আমার আত্মিক ক্ষমতা অসীম। সারা পৃথিবী আমার। যেখানে দরকার সেখানে যাবো। যা প্রয়োজন তা-ই নেবো। যা চাই তা-ই পাবো। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণ করবো।
• প্রবৃত্তির শৃঙ্খল থেকে যে মুক্ত হতে পারে, সে-ই অনন্য মানুষ। আমি অনন্য মানুষ হবো।
• সকল আসক্তি ও প্রবৃত্তির শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে আমি হবো আত্মজয়ী বীর।
• নেতৃত্ব হচ্ছে প্রয়োজনের মুহূর্তে অন্যের পরামর্শের জন্যে অপেক্ষা না করে পদক্ষেপ নেয়ার সামর্থ্য। এ সামর্থ্য আমার আছে। প্রয়োজনে আমি নেতৃত্ব দেবো।
• ধর্ম হচ্ছে শক্তির মহত্তম উৎস। আমি আমার ধর্ম আন্তরিকভাবে অনুসরণ করবো।
• ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি মানবীয় সত্তার বিনাশ ঘটায়। আমি ধার্মিক। তাই সবসময় ধর্মে মধ্যপন্থা অবলম্বন করবো।
• আমি কখনও অন্যকে আমার জন্যে অপেক্ষা করাবো না।
• আমি আমার দেশকে ভালবাসি। মেধার বিকাশ ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে দেশের জন্যে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবো।
• চিন্তা, কথা ও কাজের মিল থাকা অনন্য মানুষের বৈশিষ্ট্য। আমি যা চিন্তা করবো, তা বলবো। যা বলবো, তা করবো আর তা করবো সততা ও প্রজ্ঞার সাথে।
• ধর্ম সদাচরণ শিক্ষা দেয়। আমি ধার্মিক। সদাচরণ হবে আমার জীবনের ভূষণ।
• প্রার্থনা হচ্ছে সৌভাগ্য আনয়নের শক্তি ও প্রক্রিয়া। আমি আমার প্রার্থনায় মনোযোগী হবো।
• হুদ্রিল ক্বালব বা একাগ্রচিত্তে আমি নামাজ পড়বো। নামাজে দাঁড়ানোর সাথে সাথে আমার মন সকল চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর প্রতি রুজু হবে। ফলে প্রতিটি সিজদা পরিণত হবে মেরাজে।
• আমি সবসময় সঙ্ঘবদ্ধ থাকবো। সৎসঙ্ঘের ছায়ায় আমার মেধা পুরোপুরি বিকশিত হবে।
• আমরা এক মহান জাতির উত্তরসূরি। যোগ্যতা ও মেধাকে বিকশিত করে বিশ্বের সেরা জাতিতে রূপান্তরিত হবো। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সৃষ্টির কল্যাণে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবো।
• উপাসনা-আরাধনায় আমি কায়মনোবাক্যে শুধু প্রভুকেই স্মরণ করবো। পরম প্রভুতে সমর্পিত হবে আমার সমগ্র অস্তিত্ব।
• আমি সবসময় নিয়মানুবর্তী হবো। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করবো।
• দান ও ক্ষমা অন্তরকে প্রশান্ত করে। এরাই হবে আমার জীবনের সহচর।
• আমি সবার প্রতি সুবিচার করবো। অন্যায় থেকে দূরে থাকবো।
• আমি কীভাবে জীবনযাপন করছি তা গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন আমি আমার জীবনের গুণগত মান উন্নত করবো।
• আমার ভুল আচরণগুলোকে প্রতিদিন শনাক্ত করবো। সুন্দর আচরণ পরিণত হবে আমার অভ্যাসে।
• সভ্যতার সবকিছু মানুষের সৃষ্টি। আমিও মানুষ। আমারও রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা। আমি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবো।
• আমি দুঃখিত কথাটি সবসময় আন্তরিকতার সাথে বলবো।
• আমার ঘুম ও জাগৃতি চমৎকার ছন্দে কাজ করছে। আমি এখন ইচ্ছেমতো জাগতে পারি, ইচ্ছেমতো ঘুমাতে পারি।
• আমি সবসময় নেতৃত্বকে অনুসরণ করবো। ফলে নেতৃত্বের গুণাবলি আমার মধ্যেও বিকশিত হবে। প্রয়োজনে নেতৃত্ব দেবো।
• কাউকে উপহাস করা ও বিকৃত নামে ডাকা থেকে বিরত থাকবো। আমি সবসময় সবাইকে সুন্দর নামে ডাকবো।
• প্রতিদিন আত্ম উন্নয়নের জন্যে কিছু না কিছু পড়বো।
• আমি আত্মপ্রত্যয়ের সাথে সকল দায়িত্ব পালন করবো ও প্রতিটি ওয়াদা রক্ষা করবো।
• নিয়মিত আমি আমার কাজের পর্যালোচনা করবো, পরিণামে আমার কাজ হয়ে উঠবে নিখাদ।
• অন্যকে বদলানোর আগে নিজেকে বদলাবো। প্রতিদিন আমি একটু একটু করে হলেও বদলাবো।
• পরিবর্তনকে ভয় পাই বলেই আমরা ভয় দ্বারা আক্রান্ত হই। আমি পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবো।
• প্রতি মুহূর্তের হাজারটি বিকল্পের মধ্য থেকে ভালোটি বেছে নেয়ার স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষমতাই প্রজ্ঞা। প্রতিদিন আমার প্রজ্ঞা বাড়বে।
• অন্যকে সে-ই অনুপ্রাণিত করতে পারে, যে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। আমি হবো সকলের অনুপ্রেরণার উৎস।
• প্রশংসার মতো নিন্দাকেও আমি সহজভাবে গ্রহণ করবো।
• বিশ্বাস থেকে বিচ্যুতির প্রথম ধাপই হলো সংশয়। আমি আমার বিশ্বাসকে সংশয়মুক্ত রাখবো।
• আজ পর্যন্ত কোনো ভিক্ষুক দাতা বা স্বাবলম্বী হতে পারে নি। যে হাত নিতে অভ্যস্ত সে হাত কখনো দিতে পারে না। আমি দাতা হবো।
• সফল মানুষ বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেন আর ব্যর্থরা বাস্তবতার দোহাই দেয়। আমি সফল মানুষের পথ অনুসরণ করবো।
• আনন্দের অনুভূতি মনের শক্তিতে ঝর্নার গতিময়তা সৃষ্টি করে। সদানন্দ হবে আমার ভূষণ।
• পেশীশক্তির দাপট ক্ষণিকের, অন্তর্গত শক্তির স্থায়িত্ব অনন্তের। আমি অন্তর্গত শক্তিতে শক্তিমান হবো।
• প্রতারণা করা অপরাধ আর প্রতারিত হওয়া তার চেয়েও বেশি অসম্মানের। প্রতারিত হওয়ার ব্যাপারে আমি সবসময় সতর্ক থাকবো।
• অবৈজ্ঞানিক ও প্রকৃতি-বিরুদ্ধ জীবনযাপন দুঃখ ও দুর্ভোগের কারণ। আমি জীবনযাপনের বিজ্ঞান অনুসরণ করবো।
• বিশুদ্ধ নিয়ত, সক্রিয় উদ্যোগ, আন্তরিক কাজ এবং সৎসঙ্ঘে একাত্মতা জীবনে স্রষ্টার রহমত আনে। আমি স্রষ্টার রহমত লাভ করবো।
• শোককে আমি শক্তিতে রূপান্তরিত করতে জানি। প্রতিটি শোক হবে আমার শক্তির উৎস।
• জীবনে চলার পথে দুঃখ আসতেই পারে। দুঃখকেও আমি আনন্দের উৎসে রূপান্তরিত করবো।
• প্রতিবাদ আর হৈচৈ করে সময় নষ্ট না করে আমি বুদ্ধিমানের মতো প্রতিকারের চেষ্টা করবো।
• আমি এখন আমার নিজের জন্যে নতুন অভ্যাস গড়ে তুলছি। এ নতুন অভ্যাস আমাকে মুক্তির পথ দেখাবে, সামনে নিয়ে আসবে নতুন সুযোগ, জীবনকে করবে পরিপূর্ণ। আমি অর্জন করবো সত্যিকারের স্বাধীনতা|
• ক্ষতি নিয়ে আফসোস করে সময় নষ্ট না করে আমি সবসময় বিকল্প পথে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো।
• চাওয়াকে সংজ্ঞায়িত করতে পারলে মন স্থির হয়, অতৃপ্তি কমতে থাকে। ১৯টি এমন বিষয়ের তালিকা আমার আছে যা আমি মৃত্যুর আগে অর্জন করবো।
• প্রতিযোগিতা করবো কেবল ভালো কাজে। এতে স্বার্থপরতা ও ক্ষুদ্র মানসিকতা থেকে মুক্তি পাবো।
• সত্যিকার বিনোদন দুশ্চিন্তামুক্ত করে, মানসিক স্থিরতা ও প্রশান্তি এনে দেয়। আমি সত্যিকার বিনোদনকে উপভোগ করবো।
• একাগ্র প্রার্থনায় স্রষ্টাকে আমরা কিছু বলি আর কোয়ান্টায়ন বা হিরণ্ময় মৌনতায় স্রষ্টা কী বলছেন তা আমরা শুনি। আমি নিয়মিত কোয়ান্টায়ন করবো।
• প্রকৃতিতে ঘটা প্রতিটি ঘটনার যৌক্তিক বা সুদূরপ্রসারী কারণ থাকে। সুসংবাদ কিংবা দুঃসংবাদ- দুটোই আমি গ্রহণ করবো স্বাভাবিকভাবে।
• রূপের কদর সাময়িক। গুণের কদর চিরন্তন। আমি গুণকে বিকশিত করবো। সর্বত্র আমি মর্যাদা পাবো।
• স্বামী/স্ত্রীর ব্যাপারে অহেতুক খুঁতখুঁতে বা সন্দেহপ্রবণ হবো না। সময়-সুযোগমতো ভুলগুলোকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেবো।
• মমতা হচ্ছে সকল সম্পর্কের প্রাণ। মমতা অপরপক্ষকে বিচার করে না, বোঝার চেষ্টা করে; প্রভাবিত করে না, তার সাথে অংশগ্রহণ করে। আমি মমতাময় হবো।
• সুযোগ পেলেই ভ্রমণ প্রাণায়াম করবো। হাঁটতে হাঁটতে যত কদমে দম নেবো তার চেয়ে বেশি কদমে দম ছাড়বো।
• প্রতিদিন পরিবারের সবাই অন্তত একবেলার খাবার একসাথে খাবো।
• খণ্ডিত বা বিচ্ছিন্ন কোনো প্রাপ্তি সাফল্য নয়। সাফল্য বিশ্বাস ও যোগ্যতার সমন্বয়ে গঠিত মনের এমন এক শক্তিশালী অবস্থা যা সবকিছুই অর্জন করতে পারে। আমি এই সাফল্যের পথেই এগিয়ে যাবো।
• মৌনতার নিজস্ব মহিমা রয়েছে। সুযোগ পেলেই আমি মৌন থাকবো।
• প্রার্থনা ও মেডিটেশন আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ফলে আমার মনছবি বাস্তবায়িত হবে সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায়।
• নিয়মিত মেডিটেশন চিন্তাকে শাণিত, সিদ্ধান্তকে সঠিক ও বক্তব্য প্রকাশকে স্বতঃস্ফূর্ত করে। আমি নিয়মিত মেডিটেশন করবো।
• নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমেই ধাপে ধাপে আমার আত্মিক সত্তার মানবীয় বিকাশ ঘটবে। এটাই অনন্য মানুষের পথ।
• আমি আমার আত্মার সাথে একাত্ম হওয়ার জন্যে নিয়মিত মেডিটেশন করবো। মেডিটেশন হবে আমার দৈনন্দিন অভ্যাসের অংশ।
• মৌনতা নিজেই এক বিপ্লবী শক্তি। মনোরাজ্যের সকল বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে মৌনতার মাঝে। সুযোগ পেলেই আমি মৌনতায় ডুবে যাবো।
• ঘুম বা তন্দ্রা মেডিটেশনের গুণকে নষ্ট করে। মেডিটেশনকালে আমার দেহ থাকবে শিথিল। কিন্তু চেতনা থাকবে সজাগ। ফলে দৃশ্যমান সবকিছুর পেছনে ক্রিয়াশীল প্রকৃতির নেপথ্য স্পন্দন অনুভব করতে পারবো।
• নিয়মিত মেডিটেশনে আমার চেতনা মুক্ত হবে সকল শৃঙ্খল থেকে।
• আমি প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন করবো। প্রতিটি মেডিটেশন আমার উপলব্ধি ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
• অতিচেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্যে প্রয়োজন নীরব মুহূর্ত। প্রতিদিন হাজারো কাজের ফাঁকে আমি এই নীরব মুহূর্ত বের করে নেবো।
• নতুন উপলব্ধিই নতুন সমাধান দিতে পারে। নতুন উপলব্ধির জন্যে আমি নিয়মিত মেডিটেশন করবো।
• আমি আমার আদর্শ ও চেতনার আলোকে জীবনযাপন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
• শাশ্বত চেতনা ও মহামানবদের আদর্শের আলোকে জীবনযাপন করার সর্বাত্মক চেষ্টা আমি করবো।
• স্রষ্টার দয়া পেতে হলে তাঁর ইচ্ছাকেই আমার জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে। আমি প্রতিনিয়ত তাঁর কাজগুলোই করবো।
• সৎসঙ্ঘ, মেডিটেশন এবং নিস্বার্থ কাজ হচ্ছে আমার অনন্য মানুষে উত্তরণের সিঁড়ি। আমি এই সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে উঠবো।
• আলোকিত জীবনের জ্ঞানে আমি নিজে আলোকিত হবো। অন্যদেরও আলোকিত করবো। আমার জীবন ভরে উঠবে অনাবিল আনন্দে।
• স্রষ্টার ইচ্ছাকেই আমি আমার জীবনের ইচ্ছায় রূপান্তরিত করবো। এটিই আমার পরিত্রাণের নিশ্চয়তা।
• আমি একা নই। আমি বিশ্বাসী। স্রষ্টা আমার সাথে রয়েছেন। আমি বিজয়ী হবো।
• আমি এক অনন্য মানুষ। আমার কথা, কাজ ও আচরণে এই অনন্যতারই প্রকাশ ঘটাবো।
• কোনো লোভ-লালসা, কামনা-বাসনার বশবর্তী না হয়ে শুধু স্রষ্টার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই আমি প্রতিটি কাজ করবো।
• বড় কিছু করার জন্যে আমি পৃথিবীতে এসেছি। আমি বড় কিছু করবো।
• আমি কসমিক ট্রাভেলার- মহাজাগতিক মুসাফির। আমার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। কিছু সময়ের জন্যে পৃথিবী পরিভ্রমণ করছি মাত্র। এই ভ্রমণ শেষে শুরু করবো আরেক ভ্রমণ।
• আমি জানি, দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে। দৃষ্টিভঙ্গি বদলে প্রতিদিন আমি নতুন জীবনের পথে এগুবো।
• যেকোনো অন্যায় কামনাকে আমি এখন অনায়াসে না বলবো। আত্মশুদ্ধির পথে আমি অটল থাকবো।
• ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পূর্ণতার অনুভূতি নিয়ে জয়ানুরণন সৃষ্টি করে। আর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি শূন্যতার অনুভূতি দিয়ে ক্ষয়ানুরণনকে বাড়িয়ে দেয়। অতএব যা আছে তাকেই আমি বড় করে দেখবো।
• জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে আমি সমান দৃষ্টিতে দেখবো। প্রত্যেককে তার কাজ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করবো।
• সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে প্রতিদিন আমি সবদিক দিয়ে ভালো হচ্ছি, সফল হচ্ছি, সুখী হচ্ছি।
• দৃষ্টিভঙ্গির সামান্য পরিবর্তন জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। প্রয়োজনে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবো।
• আমি সত্যিকারের ধার্মিক। আমার জীবন হবে আমার ধর্মের প্রতিচ্ছবি।
• রঙধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে গ্রহণ করতে হবে। আমি বৃষ্টিকে হাসিমুখে গ্রহণ করবো। বৃষ্টিই হবে আনন্দের উৎস।
• স্রষ্টায় সমর্পণের মধ্য দিয়েই মানুষ আলোকিত হয়। আমি স্রষ্টায় সমর্পিত। শক্তি ও পথনির্দেশনা তাঁর কাছ থেকেই পাবো।
• কাঁটা ছাড়া গোলাপ হয় না। আমি গোলাপ ভালবাসি। তাই কাঁটাকেও গ্রহণ করবো।
• পশুর সুখ জৈবিক। সাধারণ মানুষের সুখ মানসিক আর অনন্য মানুষের সুখ আত্মিক। আমি অনন্য মানুষের পথই অনুসরণ করবো।
• আমার অন্তর্চেতনা বিস্তৃত। প্রতিটি বিষয় আমি সঠিকভাবে বুঝতে ও বিশ্লেষণ করতে পারবো।
• প্রজ্ঞা আমার চিন্তার ভূষণ। আমার চিন্তা ও কাজ পরিচালিত হবে প্রজ্ঞা দ্বারা।
• সুখী হওয়ার জন্যেই আমার জন্ম। ইতিবাচক তৎপরতায় আমার সুখ বাড়তেই থাকবে।
• আমার বিশ্বাস, আমার প্রত্যাশা, আমার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালানোর কোনো সীমা নেই। বিজয় আমারই।
• আমি সত্যের পক্ষে। তাই আমি একা নই। পরম প্রভু আমার সাথে আছেন।
• যত বাধাই আসুক প্রভু আমার সাথে রয়েছেন। আমিই জয়ী হবো।
• অনন্য মানুষ হতাশ ও বিষণ্ন মানুষের জীবনকে আশার আলোয় উজ্জীবিত করে। আমি অনন্য মানুষের পথ অনুসরণ করবো।
• আমার ইন্দ্রিয়, আমার প্রবৃত্তি, আমার মনের ওপর সবসময় আমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
• শুকরিয়া মনকে প্রশান্ত করে। অস্থির মনকে স্থির করে। মস্তিষ্কে তখন নতুন, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী চিন্তা-পরিকল্পনা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সৃজনশীলতা বাড়াতে আমি তাই শোকরগোজার হবো।
• সুখ আমার মৌলিক অধিকার। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের ফলে আমি সুখ ও সমৃদ্ধির পথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অগ্রসর হবো।
• দক্ষতা ছাড়া সততা শক্তিহীন। সততা ছাড়া দক্ষতা মূল্যহীন। আমি দক্ষ, আমি সৎ।
• জন্ম বা বংশ নয়, কর্মই মানুষকে মহান করে। সৎকর্মে নিবেদিত হয়ে আমিও মহান হবো।
• সভ্যতার সবকিছু মানুষের সৃষ্টি। আমিও মানুষ। আমারও রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা। আমি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবো।
• সামাজিক অনুষ্ঠানে গিফট দেয়া-নেয়া এক সামাজিক ব্যাধি। আমি এ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকবো।
• সফল হওয়ার জন্যেই আমি পৃথিবীতে এসেছি। শুকরিয়া ও সৎকর্মের ফলে আমার সাফল্যের পরিমাণ দিন দিন বাড়বে।
• আত্মবিকাশের অধিকার কেউ কাউকে দেয় না। তা আদায় করে নিতে হয়। আমার অধিকার আমি আদায় করে নেবো।
• আমি জানি, যে অবস্থায়ই আমি থাকি না কেন, আমার চেয়েও খারাপ অবস্থায় কেউ না কেউ আছে। আমি সবসময় শোকরগোজার থাকবো।
• দীর্ঘজীবন, অনন্ত যৌবন, কালজয়ী মন, সুখ প্রতিক্ষণ। পৃথিবী আমারই।
• স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে আমি প্রতিটি কাজ করতে সচেষ্ট থাকবো। আমি সব ব্যাপারেই স্বাবলম্বী হবো।
• আমি প্রতিদিন ভোরে মেডিটেশন করবো। মেডিটেশনের প্রশান্তি সারাদিন বয়ে বেড়াবো। ফলে আমার চিন্তা, কথা, সিদ্ধান্ত ও আচরণ সঠিক হবে।
• আমি সঠিক পথের অনুসারী। প্রতিদিন আমার অন্তরের আলো ও প্রশান্তি বাড়ছে।
• আমি প্রশান্তিতে থাকতে চাই। প্রশান্তি নষ্ট করতে পারে এমন কাজ করা থেকে সবসময় বিরত থাকবো।
• সুখী হতে হলে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু ভুলে যেতে হয়। আমি অপ্রয়োজনীয় বিষয় ভুলে যাবো।
• আনন্দ কিংবা দুঃখ- দুটোই আমি সহজভাবে গ্রহণ করবো। ফলে আমার জীবন হয়ে উঠবে আনন্দময়।
• প্রকাশ মমতার শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। আন্তরিক হাসি দিয়ে আমি আমার বিশ্বজনীন মমতাকেই প্রকাশ করবো।
• আমার প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। এই মূল্যবান সময় আমি অন্যের ছিদ্রান্বেষণে ব্যয় করা থেকে বিরত থাকবো।
• সততা ভেতর থেকেই নিরাপত্তার অনুভূতি সৃষ্টি করে। আমি সবসময় নিজের কাছে সৎ থাকবো।
• প্রশান্ত মন যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারে। নিয়মিত মেডিটেশন আমার মনকে ধীরে ধীরে প্রশান্ত করবে।
• সত্যিকারের সাহায্য আসে নিজের অন্তর থেকে। আমার অন্তরই আমাকে সবসময় সাহায্য করবে।
• আমার মন সবসময়ই আমার নিয়ন্ত্রণে রাখবো। যেন আমি বলতে পারি, হ্যাঁ! এটা আমার মন।
• শ্রম দেহের শক্তি বাড়ায় আর সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ মনের শক্তি বাড়ায়। প্রতিটি সমস্যা আমাকে আরো চৌকস করবে।
• শৃঙ্খলা, মনোযোগ এবং প্রজ্ঞা মানুষকে পৌঁছায় আশীর্বাদপূর্ণ প্রশান্ত জীবনে। আমি অনন্য মানুষের এই সুন্দর পথ অনুসরণ করবো।
• যেকোনো পরিস্থিতি আমি শান্তভাবে মোকাবেলা করবো।
• আমার চিন্তার আমিই হবো প্রভু। আমার মন শুধু আমার কথাই শুনবে।
• দেহের মতো মনকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিলে মন ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পাবে। আমি এই প্রশিক্ষণের প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাবো।
• প্রশান্ত মন এবং সুপরিকল্পিত পদক্ষেপই আমার অন্তর্গত শক্তির প্রকাশ। আমার অন্তরই আমার শক্তির আধার। আমিই জয়ী হবো।
• প্রশান্ত মন কল্যাণ প্রক্রিয়াকে বেগবান করে আর শুকরিয়া প্রশান্তি সৃষ্টি করে। আমি সবসময় শোকরগোজার থাকবো।
• বিশ্বাস শক্তির আকর। আমি বিশ্বাসী। বিশ্বাসের শক্তি আমার সাফল্যকে নিশ্চিত করবে।
• আমার হৃদয় গভীরভাবে অনুভব করতে পারে। আমার মস্তিষ্ক যেকোনো জটিল বিষয় বুঝতে পারে। অজেয় ইচ্ছাশক্তি রয়েছে আমার। আমিই বিজয়ী হবো।
• ইতিবাচক চিন্তা আমার জন্যে কল্যাণ বয়ে আনবে। আমি যা চাই, ইতিবাচক চিন্তা ও কাজ দিয়েই তা পাবো।
• যে সমস্যাই আসুক, সমস্যার অংশ না হয়ে আমি হবো সমাধানের অংশ।
• আমি আমার ইনটুইশনকে বিশ্বাস করতে শিখছি। আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবেই যেকোনো বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পারবো।
• শেষ পর্যন্ত সবকিছুই আমার অনুকূলে আসবে। সেজন্যে আমি সবরের সাথে অপেক্ষা করবো।
• আজ যাদের সাথে দেখা হবে, তাদের জীবনে আমি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবো।
• অপকারের বিনিময়ে উপকার করে আমি আমার অন্তরের ময়লা ও কালিমা দূর করবো।
• প্রো-অ্যাকটিভ পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই আমি যেকোনো সমস্যার স্বতঃস্ফূর্ত সমাধান করবো।
• সকল সম্ভাবনা আমার ভেতরেই রয়েছে। ব্যর্থতার ছাই থেকে আমি নির্মাণ করবো সাফল্যের প্রাসাদ।
• ভাগ্যবান সে-ই যে মেঘের আড়ালে রঙধনু দেখতে পায়। হ্যাঁ, আমি সেই ভাগ্যবান!
• প্রতিক্রিয়া সম্ভাবনা নষ্ট করে আর কাজ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে আমি সবসময় কর্মমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
• আমি কর্মমুখী, আমি প্রো-অ্যাকটিভ। আমি আমার কাজ করার ক্ষমতাকে প্রয়োগ করবো এবং কাজের আনন্দকে উপভোগ করবো।
• প্রো-অ্যাকটিভ ব্যক্তি যেকোনো পরিস্থিতিতে সবসময় ঠাণ্ডা মাথায় নিজস্ব মূল্যবোধের আলোকে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেন। আমি সবসময় প্রো-অ্যাকটিভ থাকবো।
• ক্ষমা স্বর্গীয়। আমার জীবনে আমি এখন ক্ষমাকে লালন করবো। ফলে আমূল বদলে যাবে জীবন। স্বর্গসুখ আমারই।
• প্রো-অ্যাকটিভ দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন ব্যক্তি সবসময় চৌকস, মূল্যবোধে উজ্জীবিত, বাস্তববাদী এবং জানেন যে, কখন কী করতে হবে। আমি সবসময় প্রো-অ্যাকটিভ হবো।
• সুখী বা দুঃখী হওয়ার স্বাধীনতা আমার রয়েছে। সুখী হওয়ার ব্যাপারেই আমি আমার স্বাধীনতা প্রয়োগ করবো।
• মমতা, ক্ষমা ও প্রত্যাশাকে সঙ্গী করে আমি ঘুমুতে যাবো আর হৃদয়ে সাফল্য-সঙ্গীতের অনুরণন নিয়ে আমি ঘুম থেকে উঠবো।
• সাফল্য লাভের জন্যে সবচেয়ে বড় পুঁজি উদ্যম। অর্থ, ক্ষমতা ও প্রভাবকেও ম্লান করে দেয় উদ্যম। আমি উৎসাহী, আমি উদ্যমী।
• নিন্দুকেরা সবসময় প্রতিক্রিয়ার আশায় নিন্দা করে বেড়ায়। যেকোনো নিন্দায় আমি নির্লিপ্ত থাকবো।
• স্রষ্টা ক্ষমা করতে ভালবাসেন। আমিও অন্যদের ক্ষমা করবো।
• প্রতিদিন আমার আত্মবিশ্বাস ও সাহস বাড়ছে।
• যতবার আমি প্রভুর কাছে ক্ষমা পেতে চাই, ততবারই আমি অন্যদের ক্ষমা করবো।
• দিনে দিনে আমার মমতা বাড়ছে, চিন্তা বিশুদ্ধ হচ্ছে, কথা মিষ্টি হচ্ছে, মৌনতা গভীর হচ্ছে। বিজয় আমারই।
• সাহসীরাই জীবনকে উপভোগ করতে পারে। আমি সাহসী। পরিপূর্ণ জীবন আমারই জন্যে।
• আমি এখন পুরোপুরি প্রো-অ্যাকটিভ। আমি নিজস্ব পরিকল্পনা অনুসারে সময়ানুবর্তিতার সাথে বিবেক ও প্রজ্ঞার নির্দেশ অনুসারে কাজ করবো।
• আমার হৃদয় বিশ্বজনীন মমতায় পরিপূর্ণ। আমি এখন সহজেই ক্ষমা করতে পারি। আমি ক্ষমাশীল হবো।
• সুন্দর প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে আমি দিন শুরু করবো, দিনের সমাপ্তিও ঘটবে একইভাবে ।
• সবর বা ধৈর্য প্রজ্ঞার সহচর। আমার সবর প্রজ্ঞাকে আরো শাণিত করবে।
• দান ও ক্ষমা অন্তরকে প্রশান্ত করে। এরাই হবে আমার জীবনের সহচর।
• সাহসী মানুষই সৌভাগ্যের বরপুত্র। আমি সাহসী। সকল আসক্তি, শৃঙ্খল ও বৃত্ত থেকে আমি নিজেকে মুক্ত করবো।
• প্রতিটি জনপদে বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলরা সমাদৃত হয়। আমি বিশ্বাসী, আমি সৎকর্মশীল।
• আমি জানি, ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’। রাগ নিয়ন্ত্রণে রেখে আমি সবসময় জয়ী হবো।
• জেতার জন্যে নয়, আমি আমার বুদ্ধিকে কাজে লাগাবো বিতর্ক এড়ানোর জন্যে।
• উত্তেজনার মুহূর্তে নিক্ষিপ্ত বাক্যবাণ শাণিত ছোরার মতো হৃদয়ে বিদ্ধ হয়। আমি উত্তেজনাকে দমন করবো। আমি সবসময় মিষ্টি কথা বলবো।
• আমি জানি, ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’- তাই আমি সবসময় ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেবো ও কাজ করবো।
• রাগের মাথায় কখনো কোনো প্রতিশ্রুতি দেবো না, কোনো আদেশ করবো না, কোনো শপথ করবো না, কাউকে শাস্তি দেবো না।
• রাগ ক্ষোভ ঈর্ষা দুরারোগ্য ব্যাধি সৃষ্টি করে। আমি এগুলো থেকে মুক্ত থাকবো।
• কোনোকিছুই আমাকে বিরক্ত করতে পারবে না, আমাকে রাগাতে পারবে না। ফলে আমি সবসময়ই শান্তিতে থাকবো।
• পৃথিবী সাহসী মানুষের জন্যে। আমি সাহসী, আমি নির্ভীক।
• বোকা ও দুর্বলরাই অভিমান ও অভিযোগ করে। আমি বুদ্ধিমান। অভিযোগের কারণ দূর করতে আমি বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করবো।
• হতাশা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। অস্থিরতা অনুভব করলেই আমি প্রার্থনায় নিমগ্ন হবো। পরম প্রভুতে সমর্পিত হলে সকল হতাশা দূর হয়ে যাবে।
• যার অন্তর্গত চেতনা জাগ্রত হয়েছে, যে ভয়ভীতি ও শঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পেরেছে সে-ই অনন্য মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি অনন্য মানুষ হবো।
• অস্থিরতা হচ্ছে মনের ময়লা। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নিয়মিত মেডিটেশন দ্বারা এই ময়লা দূর করে আমি মনকে প্রশান্ত ও পবিত্র করবো।
• আমার মুড নিয়ন্ত্রণের শক্তি আমার মাঝেই রয়েছে। আমি সবসময় আমার মুডকে নিয়ন্ত্রণে রাখবো।
• অমূলক ভয় ও শঙ্কা হচ্ছে ভূতের মতোই অলীক। আমি অলীকতা থেকে মুক্ত। আমি সাহসী। আমি নির্ভীক।
• অবাস্তব চিন্তা হলো অলীকতা। আর অসম্ভব বলা হলো ভীরুর কাজ না করার ছল। আমি অলীক নয়, বাস্তব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপাত অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করবো।
• ভয় মানুষকে শৃঙ্খলিত করে রাখে। অন্তর্গত শক্তিকে জাগ্রত করে আমি ভয়কে জয় করবো। আমি জয়ী হবো।
• আমি আমার ক্ষোভ, ক্রোধ ও ঘৃণাকে বিশ্বজনীন মমতায় রূপান্তরিত করে সৃষ্টির সেবায় নিবেদিত করবো।
• সকল প্রকার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-সন্দেহ থেকে আমি মুক্ত। আমি আমার জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করবো।
• জীবনে যার-ই উত্থান ঘটেছে, সে নিচ থেকে ওপরে উঠেছে। বর্তমান অবস্থা যা-ই হোক, আমারও উত্থান ঘটবে।
• দুঃখ মানুষকে নতুন উপলব্ধির সোপানে নিয়ে যায়। আমি আমার দুঃখকে এক অজেয় শক্তিতে রূপান্তরিত করবো।
• নেতিবাচক ও হতাশ লোকদের থেকে আমি সবসময় দূরে থাকবো।
• কামের মতো আগুন নেই। ঘৃণার মতো পাপ নেই। আমি প্রবৃত্তির এই দুটো ধ্বংসাত্মক প্রবণতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবো। এটাই অনন্য মানুষের পথ।
• অহংকারী পতিত হয়। আমি আমার কথা ও কাজে বিনয়ী হবো।
• আমি নিয়মিত দুবেলা মেডিটেশন করবো। রাগ ক্ষোভ ঘৃণা ও ঈর্ষা থেকে মুক্ত থাকবো।
• আর্থিক লাভের চেয়ে চরিত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চারিত্রিক দৃঢ়তাই আমার সাফল্য আনবে।
• কল্যাণচিন্তায় নিবেদিত না হলে অন্যায় ও অকল্যাণ আমাকে গ্রাস করবে। অন্যায় ও অকল্যাণের থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে সবসময় কল্যাণচিন্তায় নিজেকে নিবেদিত রাখবো।
• অন্যের হৃদয়ে প্রবেশের সহজ পথ বিনয় ও সততা। আমি বিনয়ী, আমি সৎ।
• গরিবের হক কথার প্রতিও মানুষ মনোযোগ দেয় না। আমি সবসময় জ্ঞানী ও বিত্তবান হতে সচেষ্ট থাকবো।
• যখন কেউ আমাকে দেখছে না, তখন আমি যে কাজ করি তার মধ্যেই আমার আসল চরিত্র প্রকাশ পায়। এ ধরনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি নিজেই নিজেকে পর্যবেক্ষণ করবো।
• বিনয় কোনোরকম খরচ ছাড়াই অন্যের হৃদয়কে স্পর্শ করে। আমি সবসময় বিনয়ী হবো।
• শখ বা হবির মিল থাকলে পারস্পরিক আলোচনা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আমিও কিছু মজার শখ গড়ে তুলবো।
• আমি সকল পক্ষের কথাই মনোযোগ দিয়ে শুনবো এবং মুদ্রার দুইদিক-ই বিবেচনা করবো। এটাই অনন্য মানুষের পথ।
• শেষ পর্যন্ত সত্যই জয়ী হয়। আমি সবসময় সত্যের পক্ষে থাকবো।
• অভ্যাসের ওপর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণই আমার লক্ষ্য। লালিত অভ্যাসের চক্র ভেঙে আমি উপভোগ করবো পরিপূর্ণ স্বাধীনতা।
• মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও আমি আমার বিশ্বাসে অটল থাকবো।
• বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো সত্যই নিজস্ব হয় না। আমি জীবন থেকে সত্যকে শিখবো।
• চিন্তা বাস্তবতার জন্ম দেয়। আমি সবসময় মহৎ চিন্তা করবো, আমার জীবন হবে মহান।
• আমি আমার ভবিষ্যত নির্মাণ করবো, নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণ করবো, নিজের জীবন নিজে পরিচালিত করবো। আমি সুখী হবো।
• মানবিকতা আমার সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। দৈনন্দিন কাজে আমি মানবিকতারই প্রকাশ ঘটাবো।
• বিশ্বাস কাজ দ্বারা সমর্থিত না হলে তা হচ্ছে ভণ্ডামি। ভণ্ডকে নয়, আমি শুধু বিশ্বাসীকেই বিশ্বাস করবো।
• আমার জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনীকে প্রতিদিন অন্তত একবার বলবো, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’।
• মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা মহাজাগতিক সফরের পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করি। আমি পরবর্তী সফরের জন্যে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করবো।
• প্রেম নয়, কাম হচ্ছে অন্ধ। সাধারণ মানুষ কাম দ্বারা অন্ধ হয়। সত্যিকারের প্রেম কাম থেকে মুক্তি দেয়। আমি যথার্থ প্রেমিক হবো।
• আমি সবসময় বিনয়ী, কুশলী ও সত্যনিষ্ঠ থাকবো।
• বিশ্বাসের চেয়ে শক্ত ভিত্তি আর কিছু নেই। বিশ্বাস আমার জীবনের ভিত্তি।
• আমার আঘাত, আমার কষ্ট, আমার দুর্ভোগের চেয়েও আমি অনেক শক্তিশালী। প্রতিটি বাধাকে আমি অতিক্রম করবো।
• অন্যের সাফল্যে আমি আমার নিজের সাফল্যের মতোই আনন্দিত হবো।
• আমি ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে পারি, যেকোনো কষ্ট সইতে পারি। অবলীলায় অপেক্ষা করতে পারি। বিজয় আমারই।
• আমি জানি, করুণাময়ের করুণা সবসময় সৎকর্মশীলদের সাথেই থাকে। আমি সৎকর্মশীল। বিজয় আমারই।
• আমি যেখানেই যাই, যার সাথেই দেখা করি, তার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসবো।
• আস্থা ও কুশলতার সাথে প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো।
• মনের সংকীর্ণতা ব্যক্তিমর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে। আমি আকাশের মতো উদার।
• যেকোনো সমস্যা সমাধানের মতো সাহস ও সৃজনশীলতা আমার আছে। সমস্যা সমাধানে আমি সাহস ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করবো।
• একটি উষ্ণ হৃদয় এবং একটি ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের সম্মিলনেই হয় অনন্য মানুষ। আমি এই অনন্য মানুষের পথ অনুসরণ করবো।
• আমি আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। স্বতঃস্ফূর্তভাবে কল্যাণকর সবকিছু আমার দিকে আকৃষ্ট হবে।
• আমি অনন্য! আমি আমারই মতো সুন্দর! আমি আমার মেধাকে শতধারায় বিকশিত করবো।
• যে প্রাণ খুলে হাসতে জানে সে-ই জানে ভালোভাবে বাঁচতে। সুযোগ পেলেই আমি হাসবো ও হাসাবো।
• সংযম সত্যিকার আত্মমর্যাদাবোধ সৃষ্টি করে। আমি সংযমী হবো।
• আমি শোকরগোজার, আশাবাদী, আত্মপ্রত্যয়ী, কর্মতৎপর, মুক্তমনা। বিজয় আমারই।
• আমার মতো দ্বিতীয় কেউ নেই। আমি অনন্য। আমি এই অনন্যতার অনুভূতিকেই আজ বিশেষভাবে অনুভব করবো।
• যে বিশ্বাস করতে পারে, সে অর্জন করতে পারে। বিশ্বাস শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমি বিশ্বাসী। সাফল্য আমারই।
• অনন্য মানুষের মতো আমি নিজের জন্যে যা চাইবো, অন্যের জন্যেও তা চাইবো। অন্যের সুখ পরিণত হবে আমার সুখে।
• মহৎ কিছু করার জন্যেই আমি পৃথিবীতে এসেছি। অবিচল বিশ্বাস ও নিরলস পরিশ্রম আমাকে মহান করবে।
• সাধারণ মানুষ পেয়ে তৃপ্তি পায়। আমি অনন্য, আমি দিয়ে আনন্দ পাবো।
• আমার মন ও চিন্তাধারা স্বচ্ছ, প্রশান্ত ও হাস্যোজ্জ্বল। আমার প্রতিটি কাজ ও চিন্তায় এই অনন্য ব্যক্তিত্বেরই প্রকাশ ঘটবে।
• আমি সব ব্যাপারে পরিমিতি ও সংযম অবলম্বন করবো। পরিমিতি সংযম ও পবিত্রতা হবে আমার জীবনের অঙ্গ।
• যৌনাচার ও যৌনাভ্যাসে আমি পরিমিতি ও সংযম অবলম্বন করবো। অনৈতিক ও ক্ষতিকর যৌনচিন্তা ও যৌনাচরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখবো।
• সততা ও গুণের কদর সর্বকালে সর্বদেশে। আমি আমার সকল সুপ্ত গুণের বিকাশ ঘটাবো।
• বিশ্বস্ততার সাথে আমি আমানত ও অন্যের গোপনীয়তা রক্ষা করবো।
• ছেলে-মেয়েতে কোনো বৈষম্য করবো না। যোগ্যতা ও কাজের ভিত্তিতে আমি তাদের মূল্যায়ন করবো।
• আমি আমার প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করবো, সময়কে কাজে লাগাবো, অপচয় থেকে দূরে থাকবো। আমি সুখী হবো।
• যে মিথ্যা কথা বলে তাকে কখনো বিশ্বাস করবো না। তার সাথে কোনো লেনদেন করা থেকে সবসময় বিরত থাকবো।
• সাধারণ মানুষ তার জৈবিক চাহিদার মধ্যেই সুখ খোঁজে। অগ্রসর মানুষ সুখ খোঁজে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে আর অনন্য মানুষ সুখ পায় আত্মিক অন্বেষায়। আমি অনন্য মানুষের পথে অগ্রসর হবো।
• আমি বিশ্বাসে অটল, প্রত্যাশায় প্রবল, প্রচেষ্টায় অক্লান্ত, শ্রমে আনন্দিত, সেবায় নিঃস্বার্থ।বিজয় আমারই।
• বিবেক দংশিত হয় এমন কিছু করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবো। বিবেকের কাছে সবসময় পরিষ্কার থাকবো।
• আমি শরীরের চাহিদা মোতাবেক পুষ্টিবিজ্ঞানের আলোকে পানাহার করবো।
• মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য, সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। আমি বিশ্বাসী।
• আমার মন ও চিন্তাধারা স্বচ্ছ, প্রশান্ত ও হাস্যোজ্জ্বল। আমার প্রাণবন্ততা চারপাশের সবাইকে মুগ্ধ করবে। আমি হবো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
• যার হারানোর কিছু নেই, তার ব্যাপারে সবসময় সতর্ক থাকবো।
• শৃঙ্খলাই শৃঙ্খলমুক্তির পথ। আমি সবসময় সুশৃঙ্খল থাকবো।
• বিনাশ্রমে অর্থলাভের প্রতিশ্রুতি প্রতারকদের একটি সাধারণ টোপ। এ টোপ থেকে আমি সবসময় সাবধান থাকবো।
• সামাজিক মুখোশ নয়, অন্তর্গত শক্তিই হচ্ছে ব্যক্তিত্ব। আমি আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবো।
• অন্যকে সে-ই অনুপ্রাণিত করতে পারে, যে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। আমি হবো সকলের অনুপ্রেরণার উৎস।
• একজন মূর্খ নিজেকে সবজান্তা মনে করে। আমি যা জানি না সে সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকবো।
• আমি দায়িত্ব নিতে শিখবো। আয়ত্ত করবো নতুন নতুন কৌশল ও জ্ঞান।
• মস্তিষ্ক মানুষকে মানুষ বানায় নি, হৃদয় মানুষকে সত্যিকার মানুষ বানিয়েছে। আমার হৃদয় বিশ্বজনীন মমতায় পরিপূর্ণ। আমি অনন্য মানুষ।
• নিজেকে ভালবাসতে পারলেই অন্তর্গত শক্তিকে জাগ্রত করা যায়। আমি নিজেকে ভালবাসবো।
• চেহারায়, দৈহিক গড়নে বা বাহ্যিক লেবাসে নয়, মডেল তিনি-ই যার গুণগুলোকে অনুসরণ করা যায়। আমি সত্যিকারের মডেল হবো।
• কোনো মানুষই নিখুঁত নয়। তাই নিখুঁত হতে না চেয়ে সুন্দরভাবে সময়মতো কাজ করার অভ্যাসই আমি আয়ত্ত করবো।
• দলিল, প্রমাণ কিংবা যুক্তি-তর্ক দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করা যায়। কিন্তু অন্তরতম সত্তা পরিতৃপ্ত হয় সমর্পণে। আমি স্রষ্টায় সমর্পিত হবো।
• রাগ-ক্রোধ পরাজয় ডেকে আনে। আমি আমার রাগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখবো।
• সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য ধারণা সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। অবিদ্যাই অশান্তির মূল কারণ। আমি অবিদ্যা থেকে মুক্ত থাকবো।
• জীবন আমার। অবিদ্যামুক্ত আলোকিত জীবন যাপনের দায়িত্বও আমার।
• অবিদ্যা মানবজীবনের কালো অধ্যায়। নিজেকে ও অন্যকে আলোকিত করার জন্যে আজ আমি কিছু সময় ব্যয় করবো।
• অবিদ্যার অমানিশা দূর হয় সত্যিকার জ্ঞানের আলোয়। অবিদ্যা দূর হলে পাপ পালিয়ে যায়, স্বার্থপরতা দূর হয়, দুর্দশার পরিসমাপ্তি ঘটে। আমি সত্যিকার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবো।
• আমি যদি আমাকে রাগানোর সুযোগ কাউকে দিই, তাহলে আমার নিয়ন্ত্রণ তার হাতে চলে যাবে। শুধুমাত্র আমিই আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবো।
• ঈর্ষা মানুষের সৎগুণকে বিনষ্ট করে। আমি ঈর্ষাকে বিনাশ করে সৎগুণের বিকাশ ঘটাবো।
• আমি এখন ক্ষতিকর লজ্জা, জড়তা ও সঙ্কোচ থেকে পুরোপুরি মুক্ত। আমি নিজেকে সম্মান করছি। ফলে অন্যদের কাছে আমার সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
• আমার দেহ-মন থেকে ক্ষতিকর আবেগগুলো এক এক করে বেরিয়ে যাবে। আমার মন ও আত্মা সত্যের আলোয় দ্যুতিময় হয়ে উঠবে।
• ভয়ের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এর উৎস হচ্ছে অতীত আর নির্মম শিকার হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। আমি নির্ভীক, আমি সাহসী। আমি আমার ভবিষ্যৎকে এই নির্মম শিকারীর হাত থেকে রক্ষা করবো।
• আমি আমার পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য জানি। তাই আমি বিকশিত হবো আমার চেতনার রঙে।
• দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে নি। প্রত্যয় ও সাহস দিয়েই আবিষ্কৃত হয়েছে নতুন পৃথিবী। আমি সাহসী, আমি আত্মবিশ্বাসী।
• কুৎসা ও কান-কথা থেকে আমি সবসময়ই দূরে থাকবো।
• আমি ভ্রান্ত ধারণা ও সংস্কারের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত বিশ্বাসে উপনীত হবো। আমি আমার সত্যিকার স্বাধীনতা অর্জন করবো।
• ঘৃণা দুর্বলের অহম প্রকাশের মাধ্যম। আমি ঘৃণা থেকে দূরে থাকবো।
• চাওয়া মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা হয় আসক্তি। আসক্তি দুঃখের প্রধান কারণ। আমি আসক্তি থেকে দূরে থাকবো।
• আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি আত্মজ্ঞান আর অহংকারের ভিত্তি জৈবিক প্রবৃত্তি। অহংকারী নয়, আমি আত্মবিশ্বাসী হবো।
• অহংকার মানুষকে পতিত করে। বিনয় হবে আমার ভূষণ।
• ভয় বা আশঙ্কা হচ্ছে শয়তানের ছায়া আর বিশ্বাস হচ্ছে স্রষ্টার নূরের ছটা। আমি বিশ্বাসের শক্তিতেই উজ্জীবিত হবো।
• ভয় বা আশঙ্কা হচ্ছে শয়তানের ছায়া আর বিশ্বাস হচ্ছে স্রষ্টার নূরের ছটা। আমি বিশ্বাসের শক্তিতেই উজ্জীবিত হবো।
• বন্দিত্ব ইট-পাথরের দেয়াল, লোহার শিকল বা পাটের দড়িতে নয়, আসল বন্দিত্ব হচ্ছে মনে। অন্তর্গত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানসিক বন্দিত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত করবো।
• বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করার চেষ্টায় কোনো স্মার্টনেস নেই, কারণ প্রতিটি পশুই সহজাতভাবে বিপরীত লিঙ্গকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে। আমি এই পাশবিক প্রবণতা থেকে দূরে থাকবো।
• দুর্ব্যবহার ও ঘৃণা ভেতরের হীনম্মন্যতারই বহিঃপ্রকাশ। আমি হীনম্মন্যতা থেকে মুক্ত হবো। সদাচরণ করবো।
• আত্মনিমগ্নতার স্তরেই অতিচেতন স্তর থেকে জ্ঞান ও উপলব্ধি সচেতন স্তরে প্রবেশ করে, সংযুক্ত হয় মহাবিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডারের সাথে। আমি নিয়মিত আত্মনিমগ্ন হবো।
• কমিটি-কমিশন নয়, নীরব মুহূর্তই পৃথিবীর সব বৈপ্লবিক ও নতুন ধারণার জন্মদাতা। প্রতিদিন কাজের ফাঁকে নিজের জন্যে কিছু নীরব মুহূর্ত আমি বের করে নেবো।
• আমি জীবনযুদ্ধের একজন সত্যিকার যোদ্ধা। আমি জানি কখন অস্ত্র সংবরণ করতে হয়। আমি সময়মতো অস্ত্র সংবরণ করবো।
• মানুষ তার জীবনছবির সমান। আমার জীবনছবি আমার কাছে স্পষ্ট। আমি মহান হবো।